Atiq Ahmed

আতিকের ঘাতকদের জাল পরিচয়পত্র, পিস্তলের ব্যবস্থা করেছিল এক ‘হ্যান্ডলার’, জেনেছে পুলিশ

ছোটখাটো অপরাধে হাত পাকানো তিন আততায়ী, লবলেশ তিওয়ারি, সানি সিংহ এবং অরুণ মৌর্যের হাতে কী ভাবে সাত লাখ টাকার আধুনিক বিদেশি পিস্তল এল, সে প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্যেই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

প্রয়াগরাজ শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:১৫
Share:

আতিক-আশরফের তিন ঘাতকের সহযোগীদের সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য পেয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে কী ভাবে প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরফকে ১২টি বুলেটে ঝাঁঝরা করে দিলেন ৩ আততায়ী? গত ১৫ এপ্রিল রাতে প্রয়াগরাজ জেলা হাসপাতাল চত্বরে ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে সেই প্রশ্ন। উত্তরপ্রদেশের ৩ জেলার বাসিন্দা লবলেশ তিওয়ারি, সানি সিংহ এবং অরুণ মৌর্যকে কী ভাবে একত্রিত করা হল, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে আতিক খুনের নেপথ্যে ‘পাকা মাথার’ ভূমিকা রয়েছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। বান্দা জেলার বাসিন্দা লবলেশ, হামিরপুরের সানি এবং কাশগঞ্জ জেলার অরুণকে ‘হ্যান্ডলার’ কাজে লাগিয়ে একত্রিত করা হয়েছিল বলে পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে। ওই সূত্রের দাবি, ৩ ঘাতককে রিপোর্টার এবং ক্যামেরাম্যানের অভিনয় করার প্রশিক্ষণ দেওয়া, জাল পরিচয়পত্রের সাহায্যে প্রয়াগরাজের হোটেলে থাকা এবং যাতায়াতের বন্দোবস্ত করা এবং কয়েক লক্ষ টাকা দামের সেমিঅটোমেটিক পিস্তল জোগানোর ব্যবস্থা করানো হয়েছিল ওই হ্যান্ডলারের মাধ্যমে।

আতিক-আশরফ খুনের পরে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছিল, জেলে থাকাকালীন পরস্পরের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিল আতিকের ৩ ঘাতক। তাদের সাংবাদিকতার অভিনয়ের তালিম দেওয়ার অভিযোগে বান্দা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। কিন্তু সেই হ্যান্ডলারের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই হ্যান্ডলারের খোঁজ পেলে আতিক হত্যার ‘নেপথ্য রহস্যের’ সন্ধান মিলবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত ১৫ এপ্রিল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রয়াগরাজের কোলভিন হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হচ্ছিল উমেশ পাল হত্যা-সহ একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত ‘গ্যাংস্টার’ আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাইকে। সে সময়ই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের ভিড়ে মিশে ছিল লবলেশ-সানি-অরুণও। তাঁদের সঙ্গেও ছিল টেলিভিশন ক্যামেরা এবং রিপোর্টিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় বুম। হঠাৎই আতিক এবং তাঁর ভাইকে তাক করে গুলি ছুড়তে থাকেন তাঁরা। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আতিক এবং তাঁর ভাই। মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে দিতে আত্মসমর্পণ করেন তিন ঘাতক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন