প্রতীকী ছবি।
এক সময়ে ছিলেন ডাকাবুকো পুলিশ অফিসার। এখন অবশ্য করান ক্যুইজ। স্কুলে স্কুলে ঘোরেন। কখনও যান কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয়ে। লিখিত প্রশ্নোত্তর এবং রচনা প্রতিযোগিতাও করান। কখনও আবার মানচিত্র আঁকান ছোটদের দিয়ে। গত বছর হরেক কিসিমের প্রায় ছ’শো প্রতিযোগিতা আয়োজন করিয়েছেন সুনীল বিশ্বাস। সবাই কিন্তু তাঁকে চেনে ভুতুবাবু নামে।
ক্যুইজের প্রশ্ন তৈরি, রচনা দেখা, পুরস্কার কেনা— সব কিছু সবসময় একাই সামলান সুনীলবাবু। সেই ১৯৬৭ সালে পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টর হিসেবে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। তার পরে ১৯৭৪-’৭৬ সালে ছিলেন শিলচরের টাউন দারোগা। প্রবীণরা এখনও বলেন— ‘ভুতু-দারোগার নাম শুনলে দৌড়ে পালিয়ে যেত দুষ্কৃতীরা।’ ২০০৭ সালে অবসরের সময় ছিলেন তিনি ছিলেন হাইলাকান্দির ডিএসপি।
এ ভাবে সময় কাটানো পছন্দ করেন কেন? সুনীলবাবুর জবাব, ‘‘আমি চুটিয়ে ফুটবল-ক্রিকেট খেলতাম। কিন্তু এখনকার ছেলেমেয়েরা সেই সুযোগ পায় কোথায়! তাই ওদের কথা ভেবে বিভিন্ন খেলার আয়োজন করতাম। পরে দেখি মাঠের অভাব। তাই অন্য কিছু ভাবতে হয়।’’
কী ভাবে আসে পুরস্কারের অর্থ? আর ছাপাখানার খরচ? তাঁর উত্তর, ‘‘ভাল কাজে কিছু টাকা খরচ হলে কী আসে যায়।’’ তাঁর ঘনিষ্ঠরা জানান, প্রতি দিন বাজার করে ফেরার পথে কিছু খাতা-কলম কেনেন সুনীলবাবু। সেগুলি সামান্য জমলেই স্কুল খোঁজা শুরু হয়। পুরস্কারের বাইরে অবশ্য অন্য কোনও খরচ লাগে না।
নেতাজি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক দেবাঞ্জন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের স্কুলে দু’বার উনি ক্যুইজ করিয়েছেন। খুবই ভাল উদ্যোগ।’’ একই কথা শোনালেন শহরের সেন্ট ক্যাপিটানো স্কুল এবং হিরণপ্রভা দেব শিশুমন্দিরের কয়েক জন অভিভাবকও।