উত্তরপ্রদেশে বৃদ্ধকে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ করে এক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম। গ্রাফিক সহায়তা: এআই।
ভুয়ো আদালত সাজিয়ে বৃদ্ধের থেকে এক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশে। ঘটনায় ইতিমধ্যে সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের বাসিন্দা ৬০ বছর বয়সি শরদ চন্দকে প্রথমে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ করেছিল প্রতারকেরা। তার পরে তাঁকে পেশ করা হয়েছিল সাজানো এক ‘আদালতে’। প্রায় এক মাস ধরে সেখানে ‘ভার্চুয়াল শুনানি’ চলেছে। এই এক মাসে বৃদ্ধের থেকে ১ কোটি ৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
ঘটনার সূত্রপাত গত ৬ মে। ওই সময় দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআইয়ের আধিকারিক পরিচয়ে ফোন আসে বৃদ্ধের কাছে। তাঁকে বলা হয়, ২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার একটি বেআইনি লেনদেনের মামলায় তিনি তদন্তের আওতায় রয়েছেন। এ কথা বলে তাঁকে ‘ডিজিটাল গ্রেফতার’ করা হয়।
বৃদ্ধ ওই ফাঁদে পা দিতেই তাঁকে পেশ করা হয় প্রতারকদের সাজানো এক ভুয়ো আদালতে। ওই ‘এজলাসে’ প্রায় এক মাস ধরে ‘শুনানি’ হয় বৃদ্ধের। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এর মধ্যেও ভুয়ো আইনজীবী এবং ভুয়ো বিচারকেরা বিভিন্ন ভাবে তাঁকে ভয় দেখাতে থাকেন। ‘শুনানি’ চলাকালীন ৪০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মোট ১ কোটি ৪ লক্ষ টাকা পাঠাতে বাধ্য করা হয় তাঁকে। যতদিন এই ভুয়ো এজলাসে ভার্চুয়াল ‘শুনানি’ চলছিল, ততদিন পুলিশের সঙ্গে যোগযোগ করেননি বৃদ্ধ। পরে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বিষয়টি থানায় জানান।
শাহজাহানপুরের পুলিশ সুপার রাজেশ দ্বিবেদী জানান, ঘটনার তদন্তে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৯ কোটি টাকার লেনদেন নজরে আসে। ওই লেনদেনটি দেখেই সন্দেহ হয় পুলিশের। সেই সূত্র ধরে তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে ধরা পড়েন সাত অভিযুক্ত। প্রত্যেকেরই বয়স ২০-২৮ বছরের মধ্যে। ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, পরিচয় ভাঁড়িয়ে প্রতারণা, সরকারি আধিকারিকের পরিচয় ভাঁড়ানো এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।