—প্রতীকী ছবি।
পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড এবং অপারেশন সিঁদুরের পরে ভারতের বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক খবর প্রচারের অভিযোগে পাকিস্তানি অভিনেতা এবং ক্রীড়াবিদ ও অন্যান্য খ্যাতনামীদের বেশ কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেল এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ‘ব্লক’ করেছিল ভারত। সেই তালিকায় ছিল পাকিস্তানের প্রথম সারির কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের ইউটিউব চ্যানেলও।
সংঘর্ষবিরতির এক মাস পরে ধীরে ধীরে সেই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার পথে নয়াদিল্লি হাঁটতে চলেছে বলে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মতামতের ভিত্তিতে ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষিত সেই চ্যানেল এবং অ্যাকাউন্টগুলির বেশ কয়েকটিকে ‘আনব্লক’ করা হয়েছে। সরকারের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। বস্তুত, ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ইউটিউব চ্যানেল ভারত থেকে দেখাও যাচ্ছে। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ভারতের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে প্ররোচনামূলক এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বিষয়বস্তু প্রচার করা হচ্ছিল ওই ইউটিউব চ্যানেল এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে। তাই সেগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
নিষিদ্ধ হওয়া পাক ইউটিউব চ্যানেলগুলির মধ্যে ছিল, ডন নিউজ়, সামা টিভি, এআরওয়াই নিউজ়, বোল নিউজ়, রাফতার, জিয়ো নিউজ়, সুনো নিউজ় এবং ‘দ্য পাকিস্তান এক্সপেরিয়েন্স’-এর মতো সংবাদমাধ্যমের ইউটিউব চ্যানেল। এ ছাড়া, কেন্দ্র ওয়াসে হাবিব, আরজু কাজমি, সৈয়দ মুজাম্মিল শাহ, ক্রিকেটার শোয়েব আখতার এবং ইরশাদ ভাট্টি, আসমা শিরাজি, উমর চিমা এবং মুনিব ফারুকের মতো সাংবাদিকদের বেশ কয়েকটি স্বাধীন ইউটিউব চ্যানেলও ব্লক করা হয়েছিল। হানিয়া আমির, মাওরাহ হোসেন, ফাওয়াদ খান, আলি জ়াফর এবং অন্যদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টগুলিও ভারতীয় ব্যবহারকারীদের জন্য ব্লক করা হয়েছিল সে সময়।