গুরুগ্রামে রাস্তার ধারে উদ্ধার তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ। —প্রতীকী চিত্র।
হরিয়ানার গুরুগ্রামে বিদেশিনির অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এ বার এক গাড়িচালককে আটক করল পুলিশ। সূত্রের খবর, একটি ফোনালাপের অডিয়ো ক্লিপ তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে এসেছে। তা থেকে পুলিশের সন্দেহ, একটি গাড়ি ওই বিদেশিনিকে ধাক্কা মেরে এলাকা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। ওই ফোনালাপের সূত্র ধরেই এক সন্দেহভাজন গাড়িচালককে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার গুরুগ্রামের মানেসরে রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার হয় ৩২ বছর বয়সি এক তরুণীর দেহ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ওই তরুণী উগান্ডার বাসিন্দা। তবে কী কারণে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন, কেন তাঁর দেহ অর্ধনগ্ন অবস্থায় পাওয়া গেল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশের সন্দেহ, তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। যদিও এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি পুলিশ। তরুণীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন হয়েছিল কি না, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সে বিষয়ে আভাস পাওয়া যেতে পারে বলে জানাচ্ছে পুলিশ।
রবিবার সকাল ৬টা নাগাদ পুলিশের কাছে খবর যায়, দিল্লি-জয়পুর হাইওয়েতে আইএমটি চওকের কাছে এক মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ পড়ে রয়েছে। সেই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে তরুণীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ফরেন্সিক দলকেও ডেকে পাঠানো হয়। মহিলাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। ঘটনাস্থলে একটি উড়ালপুলও রয়েছে। সে ক্ষেত্রে মহিলাকে উড়ালপুল থেকে কেন ফেলে দেওয়া হয়েছিল, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।