(বাঁ দিকে) উদ্ধার হওয়া গয়না। অভিযুক্ত সেই কেরানি (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
কর্নাটকের এক প্রাক্তন কেরানির বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাল লোকায়ুক্ত পুলিশ। কেরানি কালকাপ্পা নিদাগুন্ডির বাড়িতে তল্লাশি চালাতেই স্তম্ভিত হয়ে যান তদন্তকারীরা। সামান্য বেতনের এক কর্মীর এত সম্পত্তি? শুধু সম্পত্তিই নয়, নগদ, গয়নাও প্রচুর। যা ১৫ হাজার বেতনের চাকরি করে কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে মোট ৩০ কোটির সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, কর্নাটক রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (কেআরআইডিএল)-এ কাজ করতেন কালকাপ্পা। তাঁর বিরুদ্ধে আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ উঠছিল অনেক দিন ধরেই। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার কোপ্পালে ওই কেরানির বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায় লোকাযুক্ত পুলিশ। শুধু কোপ্পালই নয়, বেঙ্গালুরু আরবান, মাইসুরু, টুমাকুরু, কালবুর্গি এবং কোদাগু জেলা-সহ মোট ৪১টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে লোকাযুক্ত পুলিশ। গত ২৩ জুলাই থেকে এই অভিযান চলছে।
শুক্রবার কালকাপ্পার প্রগতি নগরের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। সেই অভিযানের সময় তদন্তকারীরা জানতে পারেন, কালকাপ্পার বেশ কয়েকটি জেলায় মোট ২৪টি বাড়ি আছে। তার মধ্যে কয়েকটি আবার বিলাসবহুল বাড়ি। এ ছাড়াও ৪০ একরের মতো কৃষিজমি রয়েছে। রয়েছে বেশ কয়েক কাঠা বাস্তু জমি। কালকাপ্পার কয়েকটি ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে ৯০ লক্ষ টাকার গাড়ি। তবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, আরও অনেক সম্পত্তির হদিস মিলতে পারে। বেশ কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে তল্লাশি চলছে। জেরা করা হচ্ছে কালকাপ্পাকেও। জানা গিয়েছে, বেশির ভাগ সম্পত্তি কালকাপ্পার স্ত্রী এবং ভাইয়ের নামে।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, শুধু কালকাপ্পাই নন, এই তল্লাশি অভিযানের তালিকায় রয়েছেন আমলা, সরকারি ইঞ্জিনিয়ার, রাজস্ব আধিকারিক, স্বাস্থ্য আধিকারিকের মতো বেশ কয়েক জন।