বিদেশ থেকে ‘উপহার’ পাঠানোর নামে প্রতারণা। —প্রতীকী চিত্র।
বিদেশ থেকে ‘উপহার’ পাঠানোর টোপ দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠল মহারাষ্ট্রের নবি মুম্বইয়ে। এক তরুণীকে প্রতারিত করে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় অন্তত দু’জন প্রতারক জড়িত বলে সন্দেহ পুলিশের। তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্তদের আসল নাম বা ঠিকানা, কিছুই এখনও তদন্তকারীদের নাগালে আসেনি।
তরুণীর মনে যাতে কোনও সন্দেহ না জাগে, সে জন্য পরিকল্পনা করেই ফাঁদ পেতেছিলেন প্রতারকেরা। প্রথমে সমাজমাধ্যমে তরুণীর সঙ্গে আলাপ জমান এক প্রতারক। তিনি নিজেকে ব্রিটেনের বাসিন্দা বলে দাবি করেন। তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব জমানোর পরে তাঁকে ব্রিটেন থেকে দামি উপহার পাঠানোর কথা বলেন প্রতারক। এর কিছু দিন পরে তরুণীর কাছে একটি ফোন আসে। দিল্লি বিমানবন্দরের শুল্ক আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে ফোনের অপর প্রান্ত থেকে জানানো হয়, তরুণীর নামে একটি উপহার এসেছে বিদেশ থেকে। কিন্তু সেটির জন্য শুল্ক দফতরের ছাড়পত্র পেতে কিছু টাকা জমা দিতে হবে।
বন্ধু বিদেশ থেকে উপহার পাঠাচ্ছেন, তা একপ্রকার বিশ্বাসই করে ফেলেছিলেন তরুণী। তাই শুল্ক আধিকারিকের পরিচয়ে ওই ফোন পেয়ে তাঁর মনে কোনও সন্দেহ জাগেনি। এর পরে শুল্ক দফতরের কর, বিদেশ থেকে জিনিস আসার বাবদ টাকা এবং পার্সেল পাঠানোর জন্য খরচ বাবদ দফায় দফায় তাঁর থেকে ৪৯ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯৯৯ টাকা হাতিয়ে নেন প্রতারকেরা। ভিন্ন ভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ওই টাকা পাঠাতে বলা হয়েছিল তরুণীকে। লক্ষ লক্ষ টাকা পাঠানোর পরেও যখন আরও টাকা দাবি করা হতে থাকে এবং উপহার এসে পৌঁছায় না, তখন সন্দেহ হয় তরুণীর। গত শুক্রবার নভি মুম্বইয়ের একটি থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান তিনি। তখনই বিষয়টি স্পষ্ট হয়। তরুণীর অভিযোগ পাওয়ার পরে তদন্তে নামে পুলিশ। প্রাথমিক অনুসন্ধানে পুলিশ জানতে পারে ভুয়ো পরিচয়ে তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে প্রতারকদের আসল পরিচয় বা ঠিকানা এখনও জানা যায়নি। তাঁদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।