সাংবাদিকদের মার, দাঁড়িয়ে দেখল পুলিশ

সিবিআই আদালতের ঠিক বাইরে চার রাস্তার একটি মোড়ে বিভিন্ন সংবাদ চ্যানেলের ওবি ভ্যান থেকে গত তিন দিন ধরে ঘটনার সম্প্রচার করা হচ্ছিল। তার বেশ খানিকটা পিছনে জড়ো হয়েছিলেন রাম রহিমের অনুগামীরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পঞ্চকুলা শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৭ ০৩:১৩
Share:

পঞ্চকুলায় মার সাংবাদিককে। ছবি: পিটিআই।

ধর্ষণের দায়ে স্বঘোষিত গুরু গুরমিত রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করল সিবিআই আদালত, আর অনুগামীদের রোষানলে পড়ল সংবাদমাধ্যম। ভস্মীভূত বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের অন্তত ১০টি ওবি ভ্যান। ইট-লাঠিতে জখম হলেন জনা কুড়ি সাংবাদিক ও আলোকচিত্রী। মার খাওয়া সাংবাদিকদের অভিযোগ, হামলার সময়ে পুলিশ দূরে দাঁড়িয়ে থেকে দেখেছে, সাহায্যে এগিয়ে আসেনি।

Advertisement

সিবিআই আদালতের ঠিক বাইরে চার রাস্তার একটি মোড়ে বিভিন্ন সংবাদ চ্যানেলের ওবি ভ্যান থেকে গত তিন দিন ধরে ঘটনার সম্প্রচার করা হচ্ছিল। তার বেশ খানিকটা পিছনে জড়ো হয়েছিলেন রাম রহিমের অনুগামীরা। এবিপি টেলিভিশনের এক আলোকচিত্রী জানান, মাঝে মাঝেই অনুগামীদের কয়েক জন করে এসে ভ্যানের মধ্যে কড়া নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ধর্মগুরুকে ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, এই খবর বাইরে আসা মাত্র প্রথমেই আক্রমণ চালানো হয় সাংবাদিক ও ওবি ভ্যানগুলির ওপর। লাঠি ও পাথর দিয়ে গাড়িগুলির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। ভেতরে থাকা সংবাদকর্মীদের টেনে বার করে মারধর করা হয়। তার পরে একটির পর একটি ভ্যানকে উল্টে ফেলে আগুন লাগানো হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে এই তাণ্ডব চললেও পুলিশকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি।

বছর ১৫ আগে রাম রহিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অন্যান্য অপরাধের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই তাঁর অনুগামীদের রোষানলে পড়ে সংবাদমাধ্যম। রাম রহিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ২০০২-এর জুলাইয়ে। নাম গোপন করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর কাছে লিখিত ভাবে এই অভিযোগগুলি পাঠিয়েছিলেন কয়েক জন মহিলা। ‘পুরা সচ’ নামে হরিয়ানার একটি সংবাদপত্র সেই চিঠিগুলি প্রকাশ করে দেয়। অক্টোবরে গুলি করে খুন করা হয় সংবাদপত্রটির সম্পাদক রামচন্দ্র ছত্রপতিকে। ছত্রপতির চর সন্দেহে রাম রহিমের আশ্রমের এক ম্যানেজার রঞ্জিত সিংহকে তার আগে খুন করা হয়। অভিযোগ রাম রহিমের নির্দেশেই এই দুই খুন করা হয়েছিল। সিবিআই এখনও এই খুনগুলির তদন্ত করছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন