Karnataka’s SBI Bank Robbery Case

কর্নাটকের এসবিআইয়ে ডাকাতি: সাড়ে ছ’কেজি সোনা, ৪১ লক্ষ নগদ মিলল মহারাষ্ট্রে, অভিযুক্তেরা অধরা

কর্নাটকের বিজয়পুরা পুলিশ খবর পায় লুট হওয়া টাকা ও গয়না লুকানো রয়েছে সোলাপুরে। তার পরেই পুলিশের একটি দল বিজয়পুরা থেকে পাড়ি দেয় সোলাপুর। সেখানকার পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রামের এক বাড়ির ছাদ থেকে ১৩৬টি প্যাকেট পায় বিজয়পুরা পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:৪১
Share:

এসবিআইয়ে ডাকাতির ঘটনার তদন্তে পুলিশ। — ফাইল চিত্র।

কর্নাটকে এসবিআইয়ের লুট হওয়া ২১ কোটি নগদ টাকা এবং গয়নার কিছু অংশের খোঁজ মিলল প্রতিবেশী রাজ্য মহারাষ্ট্র থেকে। ডাকাতির পর দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় সেখানেই। ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন জায়গায়। পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোলাপুরের হুলজন্তী গ্রামের এক বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হয় সাড়ে ছ’কেজি সোনা এবং ৪১ লক্ষ নগদ!

Advertisement

কর্নাটকের বিজয়পুরা পুলিশ খবর পায় লুট হওয়া টাকা ও গয়না লুকিয়ে রয়েছে সোলাপুরে। তার পরেই একটি দল বিজয়পুরা থেকে পাড়ি দেয় সোলাপুর। সেখানকার পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রামের এক বাড়ির ছাদ থেকে ১৩৬টি প্যাকেট পায় বিজয়পুরা পুলিশ। তার মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় বান্ডিল বান্ডিল নোট, এবং সোনার গয়না।

কী ভাবে ওই লুটের জিনিস উদ্ধার হল? পুলিশ সূত্রে খবর, এক সন্দেহভাজন হুলজন্তী গ্রামে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। গ্রামবাসীরা তাঁকে ধরে ফেলেন। শুরু হয় বচসা। সুযোগ বুঝে গাড়ি এবং লুটের জিনিস ফেলেই গ্রাম ছাড়েন ওই সন্দেহভাজন। পরে পুলিশ গিয়ে ওই সব টাকা এবং গয়না উদ্ধার করে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার কর্নাটকের চড়াচন শহরের এসবিআইয়ে ২১ কোটি টাকার ডাকাতি হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ২১ কোটি টাকার সোনার গয়না এবং নগদ এক কোটি টাকা লুট করে চম্পট দেয় ডাকাতদল। সেনার পোশাকে মুখোশ পরে ব্যাঙ্কে ঢুকেছিল তিন ডাকাত। ব্যাঙ্কে তখন কর্মীরা কাজে ব্যস্ত ছিলেন। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ব্যাঙ্কের ম্যানেজার এবং কর্মীদের বেঁধে শৌচাগারে আটকে রাখে তারা। তার পর অবাধে লুটপাট চালায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ডাকাতেরা ভুয়ো নম্বরপ্লেট লাগানো গাড়ি নিয়ে ডাকাতি করতে এসেছিল। লুটপাটের পর সেই গাড়িতেই পান্ধারপুরের দিকে রওনা দেয়। কিন্তু পথে সোলাপুর জেলায় ডাকাতদের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। স্থানীয়দের সঙ্গে ঝামেলাও হয়। তার পর তারা পান্ধারপুরে পালিয়ে যায়। ডাকাতদের ধরতে আটটি দল গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজয়পুরার পুলিশ সুপার লক্ষ্ণণ নিমবার্গি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement