আটক আপ বিধায়ক-সহ উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়াকে ছেড়ে দিল দিল্লি পুলিশ। রবিবার সকালে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল থেকে ৫২ জন আপ বিধায়ক-সহ উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়াকে আটক করা হয়। গত শনিবার দিল্লির খানপুরে নিজের বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন সঙ্গম বিহারের আপ বিধায়ক দীনেশ মোহনিয়া। এ দিন সকালে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা-সহ তারই প্রতিবাদ করতে আম আদমি পার্টি (আপ)-র কর্মী সমর্থক-বিধায়কদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনের দিকে এক বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এগোচ্ছিলেন মণীশ সিসৌদিয়া। সেখানেই তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ।
‘ব্রেক্সিটে’র পর দিল্লির পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের অধিকার নিয়ে ব্রিটেনের মতো গণভোটের অধিকার আছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। এর পরই যৌন হেনস্থার অভিযোগে দীনেশ মোহানিয়ার গ্রেফতারিতে নাটকীয় হয়ে ওঠে দিল্লির রাজনৈতিক মঞ্চ। কেন্ত্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ দিল্লি পুলিশকে নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপড়েন অব্যাহত। গত ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর এখনও পর্যন্ত আট জন বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেজরীবাল সরকারের অভিযোগ, কেন্দ্র তাদের কোনও ভাবেই কাজ করতে দিচ্ছে না। ফলে ব্যাহত হচ্ছে উন্নয়ন।
আরও পড়ুন
সাংবাদিক বৈঠকেই গ্রেফতার আপ বিধায়ক
সিসৌদিয়া এ দিনও অভিযোগ করেছেন, “আপ সরকারকে কাজ করতে দিচ্ছে না ভারতীয় জনতা পার্টি। প্রায় প্রতি দিনই কোনও না কোন আপ বিধায়ককে আটক করছে দিল্লি পুলিশ।” তাঁর হুঁশিয়ারি, “আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে গিয়ে আত্মসমর্পণ করব।” সিসৌদিয়ার সঙ্গে মিছিল করে প্রধানমন্ত্রী বাসভবনের সামনে যাচ্ছিলেন আপ বিধায়করা। কিন্তু, মাঝপথেই তাঁদের আটক করে পুলিশ। এ দিন দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার যতীন নারওয়াল জানিয়েছেন, বিধায়ক-সহ মণীশ সিসৌদিয়াকে আটক করে তুঘলক রোডের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আপ নেতাদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দিল্লি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার এম কে মীনা বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে এ ভাবে বিক্ষোভ দেখানো যায় না। বিক্ষোভকারীদের যন্তরমন্তরের সামনে প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া হলেও তাঁরা সেখানে যেতে রাজি ছিলেন না।” তবে মণীশ সিসৌদিয়া-সহ আপ বিধায়কদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি পুলিশ। পরে অবশ্য তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়।