সিওয়ানে সাংবাদিক রাজদেও রঞ্জনকে খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে এখনও অন্ধকারেই পুলিশ। তবে সিওয়ানের বাহুবলী নেতা সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে রাজদেওয়ের বিরোধের আভাস পাওয়া গিয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। লালুর দল আরজেডির প্রাক্তন সাংসদ সাহাবুদ্দিন এখন সিওয়ানের জেলে বন্দি। কিন্তু জেলেই তিনি নিয়মিত দরবার চালান বলে দাবি সংবাদমাধ্যমের একাংশের। প্রশাসন সূত্রে খবর, সাহাবুদ্দিনের দরবার নিয়ে খোঁজ নিচ্ছিলেন রাজদেও। বাহুবলী নেতার সঙ্গে এতে তাঁর বিরোধ বাধে।
মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এখনও সিওয়ানে না আসায় প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন শিবিরে। এই ধরনের বেশ কিছু ঘটনার পরে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন নীতীশ। কিন্তু তাঁর দলের বিধান পরিষদ সদস্য মনোরমা দেবীর ছেলে রকি যাদবের হাতে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আদিত্য সচদেব খুন হওয়ার পরে নীতীশ গয়াতেও যাননি। তবে আজ নীতীশ জানান, সিওয়ানে সাংবাদিক হত্যার ক্ষেত্রে দোষীদের রেয়াত করা হবে না। ঘটনার সময়ে রাজভবনে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই ফোনে পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন তিনি।
সিওয়ানের এসপি সৌরভ শাহ জানান, খুনের ধরন দেখে মনে হচ্ছে পেশাদাররা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। মাথায় ও গলায় এমন ভাবে গুলি করা হয়েছে যে বাঁচার সম্ভাবনাই ছিল না।
কাল রাতে আবার বক্সার স্টেশনের কাছে মোগলসরাই-বক্সার প্যাসেঞ্জার ট্রেনে দুষ্কৃতীদের হামলায় নিহত হন অভিষেক সিংহ নামে এক জিআরপি জওয়ান। জখম হয়েছেন নন্দলাল যাদব নামে আর এক জওয়ান। দুই জওয়ানই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। দুষ্কৃতীরা জওয়ানদের রাইফেল নিয়ে চৌসা স্টেশনে নেমে চম্পট দেয়।