Telangana

বিষ খেয়েছিলেন কৃষক, কাঁধে তুলে জমির আল ধরে দু’কিমি ছুটে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন পুলিশকর্মী

যেখানে ওই যুবক বিষ খেয়েছিলেন, সেই জায়গা থেকে মূল রাস্তায় যেতে হলে জমি ধরে অনেকটা পথ যেতে হবে। গাড়ি ঢোকার রাস্তাও নেই। ফলে আর সময় নষ্ট না করে যুবককে নিজের কাঁধে তুলে নেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৪ ১২:৩০
Share:

এ ভাবেই যুবককে নিয়ে ছুটছিলেন জয়পাল। ছবি: সংগৃহীত।

ফোন ধরতেই তাঁকে জানানো হয়েছিল, চাষের জমিতে বসে এক কৃষক বিষ খেয়েছেন। তাঁকে বাঁচাতে হবে। সেই ফোন পেয়ে এক মুহূর্ত দেরি করেননি জয়পাল। থানা থেকে সোজা হাজির হয়েছিলেন ঘটনাস্থলে। গিয়ে দেখেন প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে এক যুবক। মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছে।

Advertisement

যেখানে ওই যুবক বিষ খেয়েছিলেন, সেই জায়গা থেকে মূল রাস্তায় যেতে হলে জমি ধরে অনেকটা পথ যেতে হবে। গাড়ি ঢোকার রাস্তাও নেই। ফলে আর সময় নষ্ট না করে যুবককে নিজের কাঁধে তুলে নেন। তার পর জমির আল ধরে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটতে থাকেন। দু’কিলোমিটার ধরে ছুটে যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসকরা পরীক্ষার পর জানান, আর কিছু সময় দেরি হলে যুবকের মৃত্যু হতে পারত। কিন্তু জয়পালের তৎপরতায় দ্রুত চিকিৎসা পাওয়ায় প্রাণে বাঁচলেন যুবক।

ঘটনাটি তেলঙ্গানার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক করিমনগরের বেতিগাল গ্রামের বাসিন্দা। নিজের চাষের জমি আছে। অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবার চাষের কাজে গিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি জমিতে আরও অনেকেই কাজ করছিলেন। তখন তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ লক্ষ করেন যে, যুবক কীটনাশকের বোতল খুলে খেয়ে নিলেন। এই পরিস্থিতি দেখে তাঁরা ঘাবড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা স্থানীয় থানায় খবর দেন। তখন থানায় কর্তব্যরত ছিলেন জয়পাল। এই খবর পেয়েই তিনি ওই যুবককে উদ্ধারের জন্য যান। কিন্তু যেখানে ঘটনাটি ঘটেছিল, সেখান থেকে মূল রাস্তা অনেকটাই দূর। গাড়ি যাওয়ার তো দূর অস্ত্‌, জমির আল ধরে হেঁটে আসতে হয়। কোনও পরোয়া না করেই সেখানে পৌঁছে যুবককে কাঁধে তুলে ওই আল ধরেই ছুটতে থাকেন জয়পাল। সময়মতো হাসপাতালেও ভর্তি করান যুবককে।

Advertisement

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, পারিবারিক অশান্তির জেরে বিষ খেয়েছিলেন যুবক। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন