National News

বাবার পর জেলে কে? খোঁচা বিজেপির, লালুর ভরসা ‘সত্যে’

বিহার তো বটেই, এ রাজ্যও টিভি খুলে বসে ছিল। রাস্তার পাশে যে সব দোকানে টিভি সেট রয়েছে, সেখানে আজ খবরের চ্যানেলই ছিল খোলা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৮:৩৮
Share:

আগেও জেলে গিয়েছেন একাধিক বার। কিন্তু লালুপ্রসাদের মতো বর্ণময়, হেভিওয়েট নেতার এ বার ভাগ্যে কী আছে, তা নিয়ে উত্সাহ, উদ্বেগ বা কৌতুহলের পারদ সকাল থেকেই ছিল যথেষ্ট চড়া।

Advertisement

বিহার তো বটেই, এ রাজ্যও টিভি খুলে বসে ছিল। রাস্তার পাশে যে সব দোকানে টিভি সেট রয়েছে, সেখানে আজ খবরের চ্যানেলই ছিল খোলা। লালুর রায় জানতে যাঁরা ভিড় করেছেন, তাঁদের মধ্যে একটা অংশ বিহার থেকে আসা বটে, কিন্তু বাঙালি জনতার আগ্রহও নেহাত পিছিয়ে ছিল না।

দেশ জুড়ে রাজনৈতিক নেতা, কর্মীদেরও নজর ছিল খবরের আপডেটে। কী হবে লালুর! শেষ পর্যন্ত আরও একটি পশুখাদ্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন তিনি। রায় ঘোষণা শুনেই টুইটারে পরপর প্রতিক্রিয়া দেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। একটি টুইটে লেখেন, “সত্য কখনও মিথ্যা হিসেবেও দেখা দিতে পারে.... (কিন্তু) শেষ পর্যন্ত সত্যই জিতবে।”

Advertisement

রায় ঘোষণা শুনতে টিভিতে চোখ। কলকাতায় শনিবার। নিজস্ব চিত্র।

আরও পড়ুন: লালু ফের জেলে, দোষী সাব্যস্ত আরও এক পশুখাদ্য মামলায়

আজই লালুর কন্যার বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল ইডি

আদালতে ঢোকার আগে পর্যন্ত লালুকে বেশ আত্মবিশ্বাসীই দেখাচ্ছিল। দু’দিন আগেই টুজি মামলায় একের পর এক নেতা ছাড়া পেয়েছেন। সেটা তাঁকে যে অনেকটা আশ্বস্ত করেছিল, তা আদালতে ঢোকার আগে কবুলও করেন লালু। বিচারক রায় ঘোষণা করতে উঠে প্রথমে বেকসুর খালাস বলে ঘোষণা করতে থাকেন একের পর এক নাম। এতে হয়ত তাঁর আশা আরও বেড়ে যায়। জগন্নাথ মিশ্র-সহ ৬ জনকে বেকসুর খালাস করেন বিচারক। কিন্তু তার পর শুরু করেন দোষী সাব্যস্তদের নাম ঘোষণা। মুহূর্তে বদলে যায় লালু শিবিরের পরিস্থিতি।

রায় ঘোষণার পরই শুরু হয় তার রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া। বিজেপি তো নাম না করে টার্গেট করেছে লালুর ছেলে তেজস্বীকেও। কংগ্রেস তোপ দেগেছে সিবিআই-এর বিরুদ্ধে। এক ঝলকে দেখে নিন, কে কী বলেছেন:

সুশীল কুমার মোদী (বিজেপি নেতা ও বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী)

জেল যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ বাবা গেলেন, পরের জন কে? লালু জানেন? পুরো পরিবার দুর্নীতিতে জড়িত। কেউ পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি তো কেউ বেনামি সম্পত্তি কেলেঙ্কারিতে। আজ চারা, এর পর লারা।

মণীশ তিওয়ারি (কংগ্রেস মুখপাত্র)

আমরা সব সময়েই বলেছি, আইনকে আইনের পথেই চলা উচিত্... (কিন্তু) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি পোষা তোতাপাখির মতো আচরণ করে যাচ্ছে।

রঘুবংশ প্রসাদ সিংহ (আরজেডি নেতা)

এক জনের জেল, এক জনের জামিন! সব বিজেপির ষড়যন্ত্র।

জে পি নাড্ডা (কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী)

কংগ্রেস ও লালু যাদবের দলের মধ্যে যে জোট, সেটা দুর্নীতির জোট। দেশের মানুষকে ঠকানোর জোট। আদালতের রায় থেকে এটা স্পষ্ট।

কে সি ত্যাগী (সাধারণ সম্পাদক, জেডিইউ)

এর পিছনে আমাদের দলের বা বিজেপির কারও হাতে নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন