বিদ্যুতের দাবিতে সড়ক অবরোধ

নিয়মিত বিদ্যুতের দাবিতে ফের রাস্তায় নামলেন শিলকুড়ি, আইংরংমারা, ধোয়ারবন্দ অঞ্চলের মানুষ। আজ সকাল থেকে শিলচর-ধোয়ারবন্দ-হাইলাকান্দি রাস্তায় অবরোধ করেন তাঁরা। অন্যান্য যানবাহনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলিকেও ফিরে যেতে হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলচর শেষ আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:২১
Share:

নিয়মিত বিদ্যুতের দাবিতে ফের রাস্তায় নামলেন শিলকুড়ি, আইংরংমারা, ধোয়ারবন্দ অঞ্চলের মানুষ। আজ সকাল থেকে শিলচর-ধোয়ারবন্দ-হাইলাকান্দি রাস্তায় অবরোধ করেন তাঁরা। অন্যান্য যানবাহনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলিকেও ফিরে যেতে হয়। ফলে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এ দিন শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী এবং ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল নগণ্য।

Advertisement

কয়েক দিন ধরেই বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়মিত করার দাবিতে লড়াই করে চলেছেন ওই সব এলাকার মানুষ। এর মধ্যে রয়েছেন ভাড়াবাড়িতে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ারাও। সকলের এক সমস্যা— দীর্ঘ দিন ধরে বিদ্যুৎ মেলে না বললেই চলে। না হয় পড়াশোনা, না ব্যবসা-বাণিজ্য।

এর আগেও এক দিন তাঁরা রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। পরবর্তী সময়ে বিদ্যুৎকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও সদুত্তর মেলেনি। তাই তাঁরা এ দিন রাস্তা অবরোধ করেন।

Advertisement

বেলা বাড়তেই টনক নড়ে প্রশাসনের। ঘটনাস্থলে পৌঁছন ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রাণী লস্কর। যান বিদ্যুৎকর্তারাও। ঝড়-বাদলের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ রাজ্য জুড়ে অনিয়মিত হয়ে পড়েছে বলে যুক্তি দেখান তাঁরা। কিন্তু ক্ষুব্ধ জনতা সে কথা মানতে নারাজ। তাঁরা অভিযোগ করেন, দেড় মাস ধরে বিরাট অঞ্চলকে প্রায় বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। অন্যত্র স্বাভাবিক পরিমাণে পাওয়ার সময়েও তাঁদের অন্ধকারে রাখা হয়েছে।

পরে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বিদ্যুৎকর্তারা আশ্বস্ত করেন, শীঘ্র ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো হবে। বিদ্যুৎকর্তাদের ওই আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত বেলা ২টোয় অবরোধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন