আর্থিক সঙ্গতি নেই পরিবারের, জানিয়েছিল সে।
শোনা হয়নি তার কথা।
উল্টে দাবি করা হয়েছিল আরও বেশি টাকা।
দাবিমত ফি না মেটাতে পারার কারণে সহপাঠীদের সামনেই তাকে অপমান করেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ।
লাঞ্ছনা সহ্য করতে পারেনি বছর পনেরোর ছাত্রটি। চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে।
অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে তেলঙ্গানার করিমনগরে। আত্মহত্যার আগে তার ক্ষোভের কথা এক ভিডিও বার্তায় রেকর্ড করে রাখে ছাত্রটি।
পুলিশ সূত্রে খবর, করিমনগরের পেড্ডাপল্লির বাসিন্দা ছাত্রটি দরিদ্র কৃষক পরিবারের। স্কুলের দাবিমত টাকা মেটাতে পারেনি বলে ছাত্রটিকে অনেক ক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল স্কুলের বাইরে। সেটি গত বুধবারের ঘটনা। আত্মহত্যার আগে, এক আত্মীয়ের থেকে মোবাইল জোগাড় করে সে। অপমানের যন্ত্রণা এবং স্কুলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ মোবাইলে রেকর্ডও করে রাখে ছাত্রটি। ভিডিও বার্তায় ছাত্রটি বলে, ‘স্কুলের দাবিমত এর আগে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছে সে। কিন্তু এর পর যে টাকা চাওয়া হচ্ছে তা তার দরিদ্র পরিবারের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। এই কথা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিল সে। তার কথা শোনা তো দূরে থাক উল্টে বকাবকি করে ক্লাসরুমের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। তার সঙ্গে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় আরও পাঁচ জন পড়ুয়াকে।’ পরিজনদের উদ্দেশে একটি চিঠি লিখে রাখে ছাত্রটি। ঘটনার এক দিন পর বৃহস্পতিবার ছাত্রটির খোঁজে পুলিশের দ্বারস্থ হয় তার পরিবার। এর পরই চাঞ্চল্যকর ভিডিওটি হাতে আসে। বেসরকারি ওই স্কুলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের হয়েছে।