National news

অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজদের মৃত্যু বিরোধীদের জাদুটোনাতেই: সাধ্বী প্রজ্ঞা

প্রজ্ঞার এই মন্তব্যের দায় নিতে অবশ্য রাজি নন বিজেপি নেতারা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভোপাল শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৯ ১৯:১২
Share:

ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। ছবি: পিটিআই।

বিজেপি নেতাদের ক্ষতি করতে তাঁদের বিরুদ্ধে জাদুটোনা বা ব্ল্যাক ম্যাজিক করছে বিরোধীরা। এমনকি, সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলি বা বাবুলাল গৌড়ের মতো নেতা-নেত্রীর সাম্প্রতিক মৃত্যুর পিছনেও রয়েছে বিরোধীদের অশুভ শক্তি। এমন মন্তব্য করে ফের বিতর্কে ভোপালের সাংসদ প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর ওরফে সাধ্বী প্রজ্ঞা। প্রজ্ঞার এই মন্তব্যের পর স্বাভাবিক ভাবেই চরম অস্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব। নিন্দায় সরব হয়েছে কংগ্রেস

Advertisement

সোমবার ভোপালে সদ্যপ্রয়াত প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এবং মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল গৌড়ের স্মরণে একটি শোকসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ওই নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করতে গিয়ে সাংসদ তথা মালেগাঁও বিস্ফোরণকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত প্রজ্ঞা বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের সময় এক মহারাজজি আমাকে প্রার্থনাশক্তি বাড়াতে বলেছিলেন, কারণ দুঃসময় আসছে। আর বিজেপির ক্ষতি করার জন্য বিরোধীরা ‘মরকশক্তি’ প্রয়োগ করছে।’’

কে সেই মহারাজ? প্রজ্ঞার দাবি, তাঁর নাম ভুলে গিয়েছেন তিনি। তবে প্রজ্ঞা আরও দাবি করেছেন, ‘‘আমি ভুলে গিয়েছিলাম তিনি (মহারাজ) ঠিক কী বলেছিলেন, তবে সুষমাজি, বাবুলালজি, জেটলিজির মতো আমাদের একের পর এক শীর্ষ নেতা যখন প্রবল কষ্ট পেয়ে অসময়ে চলে যাচ্ছেন, তখন মনে হচ্ছে, মহারাজজি কি ঠিক বলেননি?’’ সেই সঙ্গে প্রজ্ঞার আরও মন্তব্য, ‘‘আপনারা এ কথাগুলো বিশ্বাস করতেও পারেন বা না-ও পারেন, তবে তাতে সত্যিটা বদলে যাবে না!’’

Advertisement

প্রজ্ঞার এই মন্তব্যের দায় নিতে অবশ্য রাজি নন বিজেপি নেতারা। ওই শোকসভায় উপস্থিত মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার বিরোধী নেতা গোপাল ভার্গব এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের মতো নেতারাও। এ নিয়ে গোপাল ভার্গব বলেন, ‘‘সকলেরই নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। আমি নিজের হয়ে কথা বলতে পারি, অন্য কারও হয়ে নয়।’’

ভোপালে সদ্যপ্রয়াত অরুণ জেটলি এবং বাবুলাল গৌড়ের স্মরণে শোকসভায় সাধ্বী প্রজ্ঞা। ছবি: পিটিআই।

প্রজ্ঞার মন্তব্য নিয়ে বিজেপি নেতারা মুখে কুলুপ দিলেও তাঁর সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রে যাঁকে হারিয়ে এ বার সাংসদ হয়েছেন প্রজ্ঞা, সেই কংগ্রেস নেতা দ্বিগ্বিজয় সিংহের ছেলে জয়বর্ধন সিংহ এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘অরুণজি, সুষমা স্বরাজজি, বাবুলাল গৌড় সাহেবকে আমরাও চিনতাম। সকলেই আমাদের শ্রদ্ধার মানুষ। এ ভাবে বিরোধীদের বিরুদ্ধে জাদুটোনা করার অভিযোগ খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’’ সেই সঙ্গে, প্রজ্ঞাকে ওই মন্তব্যে প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

এই প্রথম নয়, এর আগেও বহু বার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন সাধ্বী। কখনও বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা নিয়ে নিজেকে গর্বিত বলা, কখনও বা মুম্বই হামলার সময় সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে লড়াইয়ে নিহত মহারাষ্ট্র সন্ত্রাস দমন শাখার অফিসার হেমন্ত কারকারের মৃত্যু তাঁর অভিশাপে হয়েছিল বলেছিলেন তিনি। মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে দেশভক্ত বলেও বিতর্কে জড়িয়েছেন। তবে দলের তরফে সতর্কীকরণ বার্তা পেলেও তিনি যে দমে যাননি, তা যেন প্রমাণ করলেন সাধ্বী প্রজ্ঞা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন