সংস্থাটি তাঁরই মস্তিকপ্রসূত। অথচ গত এক বছরে সংস্থার তিনটি বৈঠকের একটিতেও হাজির ছিলেন না তিনি। এমনকী কোনও পরামর্শ দিয়েও সংস্থাকে তিনি সাহায্য করছেন না। তিনি প্রশান্ত কিশোর। সরকারি ভাবে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের প্রধান পরামর্শদাতা। পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা তাঁর।
পটনার সচিবালয়ে তাঁর দফতর রয়েছে। তবে সেখানে কখনও তাঁকে দেখা যায়নি। বিহার সরকার বা প্রশান্ত কিশোর, কারও তরফেই এ নিয়ে সরকারি ভাবে কিছুই বলা হচ্ছে না। প্রশান্ত কিশোরের ‘বিহার বিকাশ মিশন’-এর ভবিষ্যৎ কী, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। আজ মুখ্যসচিব, ডিজি-সহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধান সচিবদের নিয়ে মিশনের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। যথারীতি ছিলেন না প্রশান্ত। সেই বৈঠকও আর পাঁচটা সরকারি বৈঠকের মতো নিতান্তই ‘রিপোর্টিং’-এই সীমাবদ্ধ ছিল।
বিধানসভা নির্বাচন জেতানোর পুরস্কার হিসেবে প্রশান্ত কিশোরকে রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ করা হয়। রাজ্যপালের তরফে গত বছর ১৯ জানুয়ারি ওই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। প্রায় এক বছর হয়ে গেল। বিহারে নেই প্রশান্ত কিশোর। প্রশ্ন উঠেছে, তিনি আছেন না নেই? রাজ্য প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, ‘‘বিহারে না এলেও সরকারি অর্থে প্রায় সমস্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। দিল্লিতে চিকিৎসক স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে রয়েছেন প্রশান্ত। তবে রাজ্য সরকারের কোনও কাজেই আর তিনি ‘পরামর্শ’ দেন না।’’
কংগ্রেসের হয়ে পঞ্জাব ভোটের প্রচারের দায়িত্বে প্রশান্ত। উত্তরপ্রদেশে তাঁর প্রচার পরিকল্পনা খুব একটা সহায়ক না হওয়ায় তাঁকে সে দায়িত্ব থেকে সরিয়েছে কংগ্রেস। কাল ফের উত্তরাখণ্ডে কংগ্রেসের প্রচারের দায়িত্ব পেয়েছেন। এ সবের মধ্যে হারিয়ে গিয়েছে ‘বিহার বিকাশ মিশন’। এক বছরে রাজ্যে উন্নয়নের মডেলই তৈরি হয়নি। আর তা নিয়ে হতাশ মহাজোট সরকারের কর্তারাই।