কলা কেনাবেচা করতে আসছেন? রথ দেখার ব্যবস্থা করছে সরকার।
অর্থাৎ এ বার প্রবাসীরা আগামী সপ্তাহে ভারতে আসছেন তাঁদের শিকড়ের সঙ্গে আর্থসামাজিক সংযোগ ঝালাতে। কিন্তু সঙ্গে কুম্ভস্নান ফ্রি।
মোদী সরকারের শেষ প্রবাসী ভারতীয় দিবস অনুষ্ঠানটি আক্ষরিক অর্থেই চুপচুপে হতে চলেছে বিশুদ্ধ হিন্দুত্বের জলে! হচ্ছে কনকনে ঠান্ডার প্রয়াগরাজে। সে ভাবেই তৈরি করা হয়েছে নীল নকশা।
বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকরা থাকেন বলে বিদেশ মন্ত্রকের সম্মেলন বরাবর হয় ইংরেজিতে। কিন্তু আসন্ন প্রবাসী ভারতীয় দিবসের সাম্প্রতিক সাংবাদিক সম্মেলনটি হল বিশুদ্ধ হিন্দিতে। আর সেখানে বিনিয়োগ টানার গল্প কম, বারাণসী থেকে প্রয়াগরাজের মাহাত্ম্য ব্যাখ্যাই বেশি।
বারাণসীতে প্রবাসী দিবস অনুষ্ঠান এবং সেখানে গঙ্গা উৎসব, প্রয়াগরাজে কু্ম্ভস্নান, মেলা দর্শন আর সব শেষে প্রজাতন্ত্র দিবসে যোগদান— এই ভাবে সাজানো হয়েছে গোটা প্যাকেজটি। বিদেশ প্রতিমন্ত্রী জেনারেল ভি কে সিংহ জানাচ্ছেন, ‘‘প্রত্যেক বার ৯ জানুয়ারি এই অনুষ্ঠান হয়। এ বার পিছোনো হল কেন, এই প্রশ্ন আসতে পারে। এ বারে কুম্ভমেলা রয়েছে। বহু প্রবাসী ভারতীয় এবং তাঁদের সংগঠন চাইছেন কুম্ভের সঙ্গে নিজেদের একাত্ম করতে। তাই ২১-২৩ জানুয়ারি প্রবাসীদের অনুষ্ঠান সেরে আমরা ২৪ তারিখ তাঁদের নিয়ে যাব প্রয়াগরাজে। ২৫শে দিল্লি ফিরিয়ে আনা হবে যাতে তাঁরা প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানেও অংশ নিতে পারেন।’’ হোটেলে নন, বারাণসীতে প্রবাসীরা থাকবেন হিন্দু সংস্কারী মানুষদের আতিথ্যে। প্রবাসীরা বারাণসীর আতিথ্য, সংস্কৃতি, সংস্কার কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাবেন। সরকার সমস্ত খরচ বহন করবে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী ক্ষেত্র বারাণসীকে বাছা হয়েছে প্রবাসী দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য,
এ কথা জানানোর পরই বিদেশ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। ওই দিন গঙ্গা নিয়ে হেমা মালিনীর একটি অনুষ্ঠান হবে।’’
বিশেষ অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ করা হয়েছে মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রভিন্দ জগন্নাথকে। মোদীর সঙ্গে তিনি উদ্বোধন করবেন অনুষ্ঠানের। এ ছাড়া আমন্ত্রিতের তালিকায় রয়েছেন নরওয়ের একটি দক্ষিণপন্থী দলের হিন্দুত্ববাদী নেতা হিমাংশু গুলাটি, নিউজিল্যান্ডের বিরোধী দক্ষিণপন্থী দল ন্যাশনাল পার্টির নেতা কানওয়ালজিৎ সিংহ বক্সি। গীতায় হাত রেখে যিনি শপথ নিয়েছিলেন, মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের সদস্য সেই তুলসী গাবার্ডকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তিনি আসবেন কি না, এখনও স্থির হয়নি।
বিদেশ মন্ত্রক জানাচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ভি কে সিংহের কথায়, ‘‘উত্তরাখণ্ড এবং হরিয়ানা– এই দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এখনও পর্যন্ত আসবেন বলে কথা দিয়েছেন।’’