‘মোটাভাই’ মোদীকে বুকে চান তোগাড়িয়া

বারো বছর ধরে মুখ দেখাদেখি বন্ধ। বিগত কয়েক বছরে যত বারই মুখ খুলেছেন, তত বারই মোদী সম্পর্কে বিদ্বেষ বেরিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা তোগাড়িয়ার মুখে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৮ ০৪:২৮
Share:

প্রবীণ তোগাড়িয়া। —ফাইল চিত্র।

ক’দিন আগেও নরেন্দ্র মোদীকে তোপ দেগে অভিযোগ করতেন, তাঁকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আর এখন সেই প্রবীণ তোগাড়িয়াই মোদীর সঙ্গে দেখা করে পা ছুঁতে চান, বুকে জড়াতে চান।

Advertisement

বারো বছর ধরে মুখ দেখাদেখি বন্ধ। বিগত কয়েক বছরে যত বারই মুখ খুলেছেন, তত বারই মোদী সম্পর্কে বিদ্বেষ বেরিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা তোগাড়িয়ার মুখে। মাস কয়েক আগে গুজরাতে তাঁকে ভুয়ো সংঘর্ষে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছিলেন। অচিরেই সেই নাম ফাঁস করার কথাও জানান। সপ্তাহ খানেক আগে গুজরাতে তাঁর গাড়িতে একটি ট্রাক ধাক্কা মারার পরেও একই অভিযোগ করেন। এ হেন ঝাঁঝালো নেতার মুখে আজ সুর মোলায়েম।

দিল্লিতে আজ সাংবাদিক বৈঠক করে তোগাড়িয়া বলেন, ‘মোটা ভাই’-এর (গুজরাতিতে বড় ভাই) সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি চিঠি লিখেছেন। মোদী তাঁর থেকে দশ বছরের বড় হলেও ১৯৭২-২০০৫ পর্যন্ত তাঁদের যে বন্ধুত্ব ছিল, হিন্দুত্ব থেকে নানা বিষয়ে হাতে হাত ধরে যে ভাবে কাজ করেছেন, জরুরি অবস্থায় একসঙ্গে লড়েছেন— সেই দিনে ফিরতে চান তিনি। মোদী সরকারের চার বছর হতে চলল, রামমন্দির, গো-রক্ষা আইন, কৃষক, শ্রমিক— নানা বিষয়ে সমস্যা আছে। বাকি এক বছরে ‘রামরাজ্য’ আনতে মোদীর সঙ্গে একবার ফোনে কথা বলতে চান। চিঠিতে নিজের মোবাইল নম্বরও দিয়েছেন।

Advertisement

এক সময়ের ঝাঁঝালো হিন্দুত্ববাদী নেতার কেন রাতারাতি ভোলবদল? বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক নেতা বলেন, ‘‘ভয়’’। মোদী সঙ্ঘের মাধ্যমে চাপে রেখেছেন তোগাড়িয়াকে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ থেকে তাঁকে সরাতে পণ করেছেন মোদী। তাই পদ ধরে রাখতে এখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সমঝোতা করতে চান। চিঠিটা আগেই লিখেছিলেন। কিন্তু সাড়া না পেয়ে আজ সাংবাদিক বৈঠক করলেন তিনি। যদিও তোগাড়িয়ার দাবি, তিনি পদের মোহে এ কাজ করছেন না। পদ চাইলে তিনি ২০০১-এ গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীই হতে পারতেন। সেই সময় মোদী তাঁর সঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দফতরে থাকতেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন