G20 summit

মোদীর ডাকা জি-২০ প্রস্তুতি বৈঠকে অংশ নিলেন মমতা, ছিলেন অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও

কংগ্রেসের তরফে সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি প্রমুখ।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ ২২:২০
Share:

বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলাপচারিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকে জি-২০ সম্মেলনের আগে প্রস্তুতি সংক্রান্ত বৈঠকে দেওয়ার আগে লোগোয় পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সোমবার শেষ পর্যন্ত মোদীর ডাকা সর্বদল বৈঠকে অংশ নিলেন তৃণমূল নেত্রী। সেখানে ছিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিংহ তামাং, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল-সহ অন্যেরা।

Advertisement

কংগ্রেসের তরফে সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে। ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা প্রমুখ।

সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে মোদীর ডাকা বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ওই বৈঠকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জি-২০ সম্মেলনের পরিকল্পনার কথা জানানো হবে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরেই দেশ জুড়ে এমন ২০০টি বৈঠক হবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের জি-২০ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করতে চলেছে ভারত। ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে বসবে ওই সম্মেলনের আসর। ২০টি দেশের প্রধান উপস্থিত থাকবেন ওই বৈঠকে। এ ছাড়া বিশেষ ভাবে আমন্ত্রিতদের তালিকায় থাকবেন বাংলাদেশ, ওমান, স্পেন, মরিশাস, সিঙ্গাপুর, নেদারল্যান্ডস-সহ ১০টি দেশের প্রধান। বিশেষ অতিথি হিসাবে থাকার কথা রয়েছে আন্তর্জাতিক সংগঠনের সদস্যদের। তাঁদেরই অভ্যর্থনা জানানোর প্রস্তুতির তোড়জোড় শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই অনলাইনে জি-২০-র প্রতীক, মূল ভাবনা এবং মূল উদ্দেশ্য কী হতে চলেছে তা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার বিকেলে জি-২০-র প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনায় বসেন প্রধানমন্ত্রী।

অন্য দিকে, এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে জি-২০ গোষ্ঠীর লোগোয় পদ্মফুলের প্রতীক ব্যবহার করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা। কেন বাঘ ও ময়ূরের প্রতীক ব্যবহার করা হয়নি? এই প্রশ্ন তুলে মমতা এটাও জানান যে, বিষয়টির সঙ্গে যে হেতু বিদেশে ভারতের ভাবমূর্তি জড়িয়ে রয়েছে, তাই এ নিয়ে এত দিন তিনি চুপ ছিলেন। তবে জি-২০ সম্মেলনের লোগোর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী দাবি করেন, ১৯৫০ সালে কংগ্রেস সরকারের আমলেই পদ্মকে জাতীয় ফুল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। জাতীয় ফুলকেই জি-২০ সম্মেলনের লোগোয় ব্যবহার করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন