(বাঁ দিকে) শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা দিশানায়েক এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
ঘূর্ণিঝড় দিটওয়ার তাণ্ডবে তছনছ শ্রীলঙ্কা। ঘূর্ণিঝড়ের দাপট কমলেও এখনও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারেনি ভারতের প্রতিবেশী দেশ। ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে মৃতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। নিখোঁজ এখনও অনেকে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত সেই শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা দিশানায়েকের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফোনে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন তিনি। একই সঙ্গে আবার এক বার পাশে থাকার আশ্বাসও দেন।
সংবাদসংস্থা এএফপি-র প্রতিবেদন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত দিটওয়া-তাণ্ডবে শ্রীলঙ্কায় ৩৩৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। নিখোঁজ অন্তত ৪০০ জন। দিশানায়েকের সঙ্গে ফোনালাপের সময় শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির জন্য সমবেদনা জানান মোদী। সেই সঙ্গে এ-ও জানান, এই সঙ্কটের মুহূর্তে ভারতের জনগণ শ্রীলঙ্কাবাসীদের পাশে রয়েছে।
শ্রীলঙ্কার দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত সে দেশে প্রায় ১১ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে। এই দুর্দিনে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। উদ্ধারকাজে নেমেছে ভারতের বায়ুসেনা। ইতিমধ্যে আকাশপথে কলম্বোয় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে অন্তত ২১ টন ত্রাণসামগ্রী। আইএনএস বিক্রান্তে করে পাঠানো হয়েছে চেতক হেলিকপ্টার। বিশাখাপত্তনম থেকে ত্রাণ নিয়ে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে রওনা হয়ে গিয়েছে আইএনএস সুকন্যাও। এই গোটা উদ্ধার অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সাগরবন্ধু’। সে দেশে আটকে পড়া ভারতীয়দেরও বিমানে করে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।
দুর্যোগের পর পরই মোদী এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে শ্রীলঙ্কার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। তিনি জানান, শ্রীলঙ্কার প্রয়োজনের সময় তাদের পাশে দৃঢ় ভাবে দাঁড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত। তার পর থেকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিবেশীদের রাষ্ট্রের দিকে। এ বার সে দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি ফোনে কথা বললেন মোদী।