আবেগের ভোটে জয় নয়, দাবি মুন্ডে-কন্যা প্রীতমের

বছর ৩২-এর পেশায় চিকিৎসক তরুণী এর আগে কখনও ভোটে দাঁড়াননি। কিন্তু প্রথম বার লড়াইয়ে নেমেই তিনি পিছনে ফেলে দিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তিনি প্রয়াত বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গোপীনাথ মুন্ডের দ্বিতীয় কন্যা প্রীতম মুন্ডে। বীড় থেকে তিনি প্রথম বার দাঁড়ালেও ভোটের আগে দিদি পঙ্কজার মতো শিরোনামে সে ভাবে দেখা যায়নি তাঁকে। তবে বীড় লোকসভা উপনির্বাচনে তিনি জয়ী হয়েছেন প্রায় ৭ লক্ষ ভোটে।

Advertisement

সংবাদসংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৪ ০৩:০৩
Share:

দিদি পঙ্কজার সঙ্গে প্রীতম (বাঁ দিকে)। সোমবার মুম্বইয়ে। ছবি: পিটিআই

বছর ৩২-এর পেশায় চিকিৎসক তরুণী এর আগে কখনও ভোটে দাঁড়াননি। কিন্তু প্রথম বার লড়াইয়ে নেমেই তিনি পিছনে ফেলে দিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।

Advertisement

তিনি প্রয়াত বিজেপি নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গোপীনাথ মুন্ডের দ্বিতীয় কন্যা প্রীতম মুন্ডে। বীড় থেকে তিনি প্রথম বার দাঁড়ালেও ভোটের আগে দিদি পঙ্কজার মতো শিরোনামে সে ভাবে দেখা যায়নি তাঁকে। তবে বীড় লোকসভা উপনির্বাচনে তিনি জয়ী হয়েছেন প্রায় ৭ লক্ষ ভোটে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে মে মাসে লোকসভা ভোটে বডোদরা আসন থেকে মোদী জিতেছিলেন ৫ লক্ষ ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে। সেই রেকর্ড পিছনে ফেলে এগিয়েছেন প্রীতম।

মোদী শপথ নেওয়ার এক মাসের মাথায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় গোপীনাথ মুন্ডের। সেই কারণেই বীড় লোকসভা আসনে উপনির্বাচনের আশু প্রয়োজন ছিল। গোপীনাথের অকস্মাৎ প্রয়াণ এবং মুন্ডে পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে শিবসেনা এবং এনসিপি প্রীতমের বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থী দেয়নি। তাই তাঁর জয় সহজ হয়ে গিয়েছিল বলে দাবি করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আজ এক সাক্ষাৎকারে প্রীতম মেনে নিয়েছেন, তিনি রাজনীতিতে ‘নতুন মুখ।’ কিন্তু তাঁর রাজনীতিতে প্রবেশ শুধুই পরিবারতন্ত্রের প্রভাবে সেই অভিযোগ মানতে নারাজ নব নির্বাচিত সাংসদ। প্রীতমের দাবি, দলের তরফে তাঁকে বেছে নেওয়া হয়েছিল, কারণ এলাকার মানুষই তাঁকে চেয়েছিলেন।

Advertisement

তবে শিবসেনা তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ায় লড়াইটা ততটা কঠিন হয়নি সেটা স্বীকার করছেন প্রীতম। কিন্তু এনসিপি লড়াইয়ে না থাকায় সুবিধা হয়েছে, এই দাবির কোনও ভিত্তি নেই বলেই জানান তিনি। বাবার নির্বাচনী এলাকা থেকে বিরাট ব্যবধানে জয়ের পরে অনেকে বলছেন, গোপীনাথ নেই। তাই মানুষ আবেগের ঢেউয়ে ভেসে তাঁকে বেছে নিয়েছেন। প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা অশোক এস পাটিলকে হারিয়ে প্রীতম বলছেন, “শুধু আবেগের কারণে জয় এসেছে বলা অন্যায়। তৃণমূল স্তরের মানুষের আবেগও জড়িয়ে আছে। বাবা সব সময় ওদের সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসতেন। মানুষের বিশ্বাস, আমিও সেই ধারা বজায় রাখব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন