কোঁকড়া চুলও যে নজর কাড়ে অভিনেত্রী মিথিলা পালকরকে দেখেই তা বোঝা যায়। ছবি: সংগৃহীত।
সমুদ্রের ধারে বেড়াতে যাবেন? চুলে ভাল লাগবে ‘বিচি ওয়েভস’ অর্থাৎ হালকা ঢেউখেলানো কেশসজ্জা। পার্টি হোক বা বিয়েবাড়ি, রকমারি যন্ত্র দিয়ে চুল কোঁকড়ানো করা হয়, দেখতে ভাল লাগার জন্যই। কিন্তু মুশকিল হল, প্রাকৃতিক ভাবেই যাঁদের চুল কোঁকড়া, তাঁদের অনেকেরই নিজস্ব চুল নিয়ে বিড়ম্বনার অন্ত নেই।
কারও চুল হালকা ঢেউখেলানো আবার কারও চুল ভীষণ কোঁকড়া, স্প্রিংয়ের মতো। আর তা নিয়ে যত ঝঞ্ঝাট। কারণ, এমন চুলে জট পড়ে বড্ড তাড়াতাড়ি। দেখলে মনে হয় পরিপাট্যের অভাব। কখনও কোঁকড়া চুল ফুলে পাখির বাসার মতো হয়ে থাকে। আর শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় অবস্থা হয় আরও খারাপ। রুক্ষ হয়ে পড়ে চুল।
তবে কেশসজ্জাশিল্পীরা বলছেন, সঠিক প্রসাধনী এবং কৌশল জানলেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। অনেকেই কোঁকড়া চুল বশে আনতে বার বার হাত দিয়ে চুল ঠিক করেন। কেউ আবার জল স্প্রে করে টেনে বাঁধেন। তবে এতে কেশসজ্জা নষ্ট হয়। বদলে জেনে নিন, কী ভাবে যত্ন নিলে কোঁকড়া চুল দেখাবে সুন্দর। শীতের পার্টিতে আপনাকে দেখাবে নজরকাড়া।
দুই রকম শ্যাম্পু: চুলের যত্নের শুরুটা করা দরকার ‘ক্ল্যারিফাইং শ্যাম্পু’ দিয়ে। এই ধরনের শ্যাম্পু মাথার ত্বক গভীর ভাবে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। যে কোনও চুলেই তা ব্যবহার করা যায়। কোঁকড়া চুল তেলতেলে বা চিটচিটে হয়ে থাকলে ভাল দেখায় না। তাই এই শ্যাম্পু মাখতে হবে। প্রথম বার চুল ধোয়ার পর ব্যবহার করুন কোঁকড়া চুল নরম করার শ্যাম্পু। রুক্ষ চুলে ব্যবহার করার জন্য মৃদু শ্যাম্পু বেছে নিন। পর পর দুই ধরনের শ্যাম্পু ব্যবহার করলে একদিকে মাথার ত্বক পরিষ্কার হবে, পাশাপাশি চুল নরম থাকবে কিন্তু বেশি ফুলে যাবে না।
কন্ডিশনার: শ্যাম্পু করার ফলে চুলের আর্দ্রতা কমে যায়। রুক্ষ ভাব এড়ানোর জন্যই দরকার কন্ডিশনার। এটি চুলকে নরম এবং জটমুক্ত রাখে। হালকা কন্ডিশনার বেছে নিন যাতে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকলেও ফোলা ভাব রয়ে যায়। বিশেষত চুলের ঘনত্ব কম হলে ফোলা ভাব থাকা জরুরি।
আবার, কোঁকড়া চুল অতিরিক্ত ফুলে থাকলে দরকার বেশি আর্দ্রতার। সে ক্ষেত্রে চুলের ধরন অনুযায়ী কন্ডিশনার বাছাই জরুরি।
লিভ-ইন কন্ডিশনার: কন্ডিশনার ব্যবহারের পরেও কারও চুলে রুক্ষ ভাব রয়ে যায়। বিশেষত চুল শুকিয়ে যাওয়ার পরে তা বোঝা যায়। তাঁদের জন্য প্রয়োজন লিভ-ইন কন্ডিশনার।এই কন্ডিশনার চুলে ব্যবহারের পর ধুয়ে ফেলতে হয় না। বরং কোঁকড়া চুল বশে রাখতে সাহায্য করে। বিশেষত শীতের দিনে এটি কাজে আসে।
তেল: শুকিয়ে যাওয়ার পরেও চুল যদি রুক্ষ মনে হয়, তা হলে সামান্য একটু তেল বুলিয়ে নিন। নারকেল তেল অথবা আর্গান অয়েল চুলের উপরের অংশে লাগিয়ে নিন।
প্রতিটি ধাপ ঠিক ভাবে মানতে পারলে কোঁকড়া চুলই সকলের কাছে প্রশংসা পাবে।