Congress

আমার মনে হয়, দলেরও এ বার নিজের রাস্তা খুঁজে নেওয়া উচিত: প্রিয়ঙ্কা

কংগ্রেস নেতৃত্বে ‘শূন্যতা’ নিয়ে ইদানীং সরব হয়েছেন দলের একাধিক নেতা। তাঁদের বক্তব্য, স্থায়ী সভাপতি না-থাকায় দল দিশাহীনতায় ভুগছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২০ ০৪:১১
Share:

প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা।

দলের স্থায়ী কর্ণধার চেয়ে কংগ্রেসের অন্দরের চর্চায় নয়া ইন্ধন জোগালেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। তাঁর মতে, গাঁধী পরিবারের বাইরের কাউকে এই পদে বসানো উচিত। রাহুলও তেমনটাই চান বলে জানিয়ে প্রিয়ঙ্কার মন্তব্য, দাদার সঙ্গে তিনি ‘সম্পূর্ণ সহমত’।

Advertisement

গত লোকসভা ভোটে দলের ভরাডুবির দায় নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল। পরবর্তী সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে ওয়ার্কিং কমিটিতে আলোচনার সময় প্রিয়ঙ্কাকেও ওই পদে বসানো উচিত নয় বলে মত প্রকাশ করেন তিনি। কিন্তু কংগ্রেসের অন্দরের টানাপড়েনে নতুন কাউকে সভাপতি নির্বাচিত করা যায়নি। অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা হিসেবে শেষ পর্যন্ত সনিয়া গাঁধীকেই ফের সভাপতির দায়িত্ব নিতে রাজি করান কংগ্রেস নেতারা।

তার পর এক বছর কেটে গিয়েছে। নতুন সভাপতি নির্বাচনের ব্যাপারে আর কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি কংগ্রেসের অন্দরে। যদিও বার বারই দাবি উঠেছে, রাহুলই ফের কংগ্রেসের হাল ধরুন। কিন্তু রাহুল পর্দার পিছন থেকে কংগ্রেসের কাজকর্ম দেখাশোনা করলেও সভাপতি পদের দায়িত্ব নিতে প্রকাশ্যে আগ্রহ দেখাননি।

Advertisement

নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলাপচারিতা নিয়ে ‘ইন্ডিয়া টুমরো’ নামের এক বইয়ে প্রিয়ঙ্কা বলেছেন, “পদত্যাগপত্রে হয়তো নয়, কিন্তু অন্যত্র রাহুল বলেছিলেন, আমাদের পরিবারের কারও কংগ্রেস সভাপতি হওয়া উচিত নয়। আমি এ বিষয়ে ওঁর সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত।” তাঁর মন্তব্য, “আমার মনে হয়, দলেরও এ বার নিজের রাস্তা খুঁজে নেওয়া উচিত।” প্রিয়ঙ্কার এই মন্তব্যে গাঁধী পরিবারের পরিকল্পনা নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে জল্পনা শুরু হয়েছে।

কংগ্রেস নেতৃত্বে ‘শূন্যতা’ নিয়ে ইদানীং সরব হয়েছেন দলের একাধিক নেতা। তাঁদের বক্তব্য, স্থায়ী সভাপতি না-থাকায় দল দিশাহীনতায় ভুগছে। এই অবস্থা কাটাতে হয় রাহুল দায়িত্ব নিন, না হয় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সভাপতি নির্বাচন হোক। প্রিয়ঙ্কা জানিয়েছেন, গাঁধী পরিবারের বাইরের কেউ তাঁর ‘বস’ হলেও তাঁর কোনও সমস্যা হবে না। কংগ্রেস সভাপতি তাঁকে উত্তরপ্রদেশের বদলে আন্দামানে গিয়ে কাজ করতে বললেও তিনি তা করবেন। প্রিয়ঙ্কা বলেছেন, কংগ্রেসের মতাদর্শ মানুষের সামনে তুলে ধরায় খামতি রয়েছে। দলের মধ্যে কিছু নেতার অবস্থান বদলেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। দলের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরতে কংগ্রেসের অধিবেশনের দরকার বলেও মত প্রিয়ঙ্কার।

একই বইতে রাহুলও বলেছেন, গত লোকসভা ভোটে পরাজয়কে কংগ্রেসের মতাদর্শের হার বলে তিনি মনে করেন না। এটি বিজেপি-সঙ্ঘের প্রচারযন্ত্রের জয়। প্রিয়ঙ্কার মতে, রাহুল তাঁর শুধু দাদা নন। প্রিয় বন্ধুও। কিন্তু তাঁদের মধ্যে ফারাক হল, রাহুল ১৫ বছর পরের কথাও ভেবে রাখেন।

তাঁর স্বামী রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে আর্থিক নয়ছয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে প্রিয়ঙ্কা জানিয়েছেন, সাত বছর আগে প্রথম অভিযোগ ওঠার পরেই তিনি প্রথমে তাঁর ছেলের হস্টেলে গিয়ে প্রতিটি পাইপয়সার হিসেব দেখিয়ে আসেন। ছেলের বয়স তখন ১৩ বছর। বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগে তার সমস্যা হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন