মোবাইলে আধার নিয়ে বিভ্রান্তি

মোবাইল পরিষেবায় নতুন-পুরনো সব গ্রাহককে টেলিকম মন্ত্রক আধারের তথ্য দাখিলের নির্দেশ দেওয়ায় পরিষেবা সংস্থাগুলি বিভ্রান্তিতে।

Advertisement

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৭ ০২:৪৯
Share:

মোবাইল পরিষেবায় নতুন-পুরনো সব গ্রাহককে টেলিকম মন্ত্রক আধারের তথ্য দাখিলের নির্দেশ দেওয়ায় পরিষেবা সংস্থাগুলি বিভ্রান্তিতে।

Advertisement

মোবাইল ফোনের ভুয়ো সিমের হদিস পেতেই পুরনো সংযোগের ক্ষেত্রেও আধার-তথ্য যাচাইয়ের এই নির্দেশ দিয়েছে টেলিকম দফতর (ডট)। কিন্তু পরিষেবা সংস্থাগুলির প্রশ্ন, বহু গ্রাহকের এখনও আধার নেই, তাঁদের কী হবে? যে সব বিদেশি ভারতে এসে সিম নিয়েছেন, তাঁদের পরিচয়ই বা কী করে যাচাই করা হবে? তাই এই ব্যবস্থা চালুর আগে ডট-এর কাছে এ সব জানতে চাইছে তারা।

ভুয়ো মোবাইল সংযোগ ঠেকাতে এক জনস্বার্থ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট গত ফেব্রুয়ারিতে নতুন ও পুরনো সংযোগ যাচাইয়ের ব্যবস্থা গড়তে কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয়। তখন কেন্দ্র জানায়, আধার তথ্যের ভিত্তিতে (ই-কেওয়াইসি) গ্রাহকদের পরিচয়ের সত্যতা খতিয়ে দেখা হবে। নতুন গ্রাহকদের ক্ষেত্রে কিছু সংস্থা তা চালু করলেও পুরনোদের ক্ষেত্রে হয়নি। সম্প্রতি ডট-এর নির্দেশ, পুরনো গ্রাহকদেরও আধার তথ্য দিয়ে ই-কেওয়াইসি চালু করতে হবে। এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে তা এক বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে হবে।

Advertisement

এ নিয়ে সম্প্রতি বৈঠকে বসেছিল সংস্থাগুলি। সেলুলার অপারের্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া-র (সি ও এ আই) ডিজি রাজন এস ম্যাথুজ বলেন, ‘‘ডট-এর নির্দেশ স্বাগত। কিন্তু কিছু বিষয় এখনও স্পষ্ট নয়। যেমন ভিন রাজ্য কর্মরত গ্রাহকদের ই-কেওয়াইসি কী ভাবে করা হবে? যে সব বিদেশি বা এ দেশের নাগরিকদের আধার এখনও নেই, তাঁদের কী হবে? ই-কেওয়াইসি যাচাইয়ের পরিকাঠামো বিভিন্ন সংস্থাকে ভাগ করে ব্যবহারেরও অনুমতি দিয়েছে ডট। তখন কি এক সংস্থার গ্রাহক অন্য সংস্থার দোকানে গিয়ে তা করাতে পারবেন?’’ তিনি জানান, এ নিয়ে ডট-কে চিঠি দিচ্ছেন তাঁরা। স্পষ্ট ব্যাখ্যা পেলে দ্রুত যাচাই পদ্ধতি শুরু হবে। এ জন্য এই শিল্পের প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা খরচ হবে।

অভিযোগ উঠছে, যত্রতত্র আধার-তথ্য ব্যবহৃত হওয়ায় নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য আদৌ গোপন থাকবে না। মোবাইলের ফোনের সাধারণ দোকানে এ ভাবে আধার-তথ্য দিলে তা কেউ হাতিয়ে নিয়ে জালিয়াতি করতে পারে। যদিও সেই আশঙ্কা অমূলক বলে দাবি ম্যাথুজের।

সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টপাধ্যায়ের মতে, সাধারণত ভুয়ো পরিচয়পত্র দিয়ে কেনা সিম ব্যবহার করেই ‘সাইবার’ অপরাধ, ব্যাঙ্ক জালিয়াতির মতো ঘটনা ঘটছে। ই-কেওয়াইসি পদ্ধতিতে সেই ভুয়ো সিম বন্ধ করা সহজ হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন