নিজেই আগ বাড়িয়ে আয়কর কর্তাদের জানিয়ে এসেছিলেন, তাঁর কালো টাকার পরিমাণ ১৩ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা! হঠাৎ সেই তিনিই গেলেন বেপাত্তা হয়ে। আবার শনিবার আচমকাই একটি চ্যানেলে দেখা দিয়ে দাবি করলেন, ওই টাকা আদৌ তাঁর নয়। ফলে, সেই আয়কর কর্তাদেরই গিয়ে তাঁকে ধরে আনতে হল। আজ দিনভর এমনই নাটক চলল আমদাবাদের জমি-বাড়ির ব্যবসায়ী মহেশ শাহকে ঘিরে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় সরকারের কালো টাকা ঘোষণা প্রকল্পের শেষ দিনে আয়কর কর্তাদের কাছে হাজির হন মহেশ। ফর্ম ভরে জানান, তাঁর ১৩ হাজার ৬৮০ কোটি কালো টাকা রয়েছে। ঠিক হয়, কেন্দ্রের ঘোষণামতো ওই টাকার ৪৫ শতাংশ, অর্থাৎ ৬ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা কর দিতে হবে মহেশকে। এর মধ্যে প্রথম কিস্তির ১৫৬০ কোটি টাকা জমা দিতে হবে ৩০ নভেম্বর।
কিন্তু নির্ধারিত দিনে তিনি হাজির না হওয়ায় আয়কর কর্তারা তাঁর টাকা জমা দেওয়ার ফর্মটি বাতিল করে দেন। মহেশ তখন গা ঢাকা দিয়েছেন। তল্লাশি চলে মহেশের বাড়ি, তাঁর আত্মীয়দের বাড়ি এমনকী তাঁর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের বাড়িতেও। এই পরিস্থিতিতে এ দিন একটি চ্যানেলে হাজির হয়ে মহেশ দাবি করেন, ওই ১৩ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা তাঁর নয়। আয়কর দফতরের চোখে ধুলো দিতেই কয়েক জন ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতা তাঁকে ওই টাকা রাখতে দিয়েছিলেন। বলা হয়েছিল, মহেশ যদি তা ‘নিজের টাকা’ বলে দেখান, তা হলে তাঁকে ভাল ‘কমিশন’ দেওয়া হবে। কিন্তু প্রথম কিস্তির কর দেওয়ার সময় আসতেই পিছিয়ে যান ওই ব্যবসায়ী ও নেতারা। মহেশের দাবি, সব কিছু সবিস্তার তিনি জানাবেন আয়কর অফিসারদের। তার আগেই অবশ্য জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক হতে হয়েছে তাঁকে।