এক যুবককে ‘পিটিয়ে খুন’ করার অভিযোগ উঠল ত্রিপুরায়। যদিও পুলিশ ও শাসক দল বলছে মৃত্যু হয়েছে বিষ খেয়ে। সিপিমের কেন্দ্রীয় সদস্য বিজন ধরের অভিযোগ, বিজেপি সমর্থকদের দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে বিজয় বরুয়া সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ করতেন। ‘এই অপরাধে’ বিজেপির সমর্থকেরা তাঁকে মেরেছে।
ত্রিপুরার ধলাই জেলার লংতরাই ভ্যালির হাসপাতাল পাড়ার খোকন বরুয়ার অভিযোগ, গত ২৫ নভেম্বর তাঁর ছেলে বিজয়কে টাউন হলের কাছে একটি ঘরের মধ্যে পাঁচ-ছ’জন মিলে বেধড়ক মারে। পরে জোর করে কিছু বলিয়ে রেকর্ডও করে। খোকনবাবু তার অভিযোগপত্র মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছেন। ওই অত্যাচারের পরে বিজয় অপমানে বিষ খেয়েছিলেন আত্মহত্যা করতে। হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করানোর পরে বাড়িতে ফিরেও যান। গত কাল ফের শরীর খারাপ হলে জিবি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বিজয়কে। সেখানে মারা যান তিনি। গত কাল রেকর্ড করা তাঁর একটি ভিডিয়ো আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। বিজয় তাতে বলেছেন, কয়েক জন মারধরের পরে তাঁকে হুমকি দিয়েছিল, বাড়ি থেকে বেরোলে ফল খারাপ হবে। রাজু দাস ও সাজু দাস নামে দু’জনের নামও বলেছেন বিজয়।
ধলাই জেলার এসপি সুদীপ্ত দাস বলেছেন ‘‘বিজয়কে আক্রমণের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল গত ২৯ নভেম্বর। জামিন পেয়েছে তারা| বিজয় বিষ খেয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে তাতেই| এটা পিটিয়ে হত্যা নয়।’’ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাজীব ভট্টাচার্যও বলেছেন, ‘‘এটি বিষ খেয়ে আত্মহত্যা। কোনও রাজনৈতিক সংঘর্ষ নয়। একে ঘিরে বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।’’
বিজয়ের মৃত্যুতে লংতরাই ভ্যালি আজ থমথমে হয়ে যায়। মোতায়েন হয় বাড়তি পুলিশ। বিজেপি বাদে অন্য সব দলের লোকেরা বিকেলে মৃতদেহ নিয়ে শোক মিছিল করেন। আগামিকাল ১২ ঘণ্টা বন্ধ ডেকেছে সিপিএম।