National News

১০৯ ঘণ্টার লড়াই থামল, কূপ থেকে উদ্ধার করেও বাঁচানো গেল না দু’বছরের শিশুকে

পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির নাম ফতেবীর সিংহ। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের সাংগ্রুর জেলার ভগবানপুরা গ্রামে। বহু দিন ধরে কুয়োটি থেকে জল তোলা হয়নি বলে সেটি কার্যত পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সাংগ্রুর (পঞ্জাব) শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৯ ১১:৪০
Share:

শিশুটির উদ্ধার অভিযানে এনডিআরএফের কর্মীরা। ছবি- এএফপি।

১৫০ ফুট গভীর একটি কুয়োয় প্রায় ৫ দিন ধরে আটকে থাকা দু’বছরের একটি শিশুকে বহু চেষ্টার পর তুলে আনা হলেও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির নাম ফতেবীর সিংহ। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের সাংগ্রুর জেলার ভগবানপুরা গ্রামে। বহু দিন ধরে কুয়োটি থেকে জল তোলা হয়নি বলে সেটি কার্যত পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।

Advertisement

পুলিশ জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই পরিত্যক্ত কুয়োটির পাশে খেলা করছিল শিশুটি। কুয়োটি গভীর হলেও তা সাত ইঞ্চির বেশি চওড়া নয়। কুয়োর মুখটি ঢাকা দেওয়া ছিল একটি কাপড় দিয়ে। খেলা করতে করতে শিশুটি সেই কাপড়ে পা দিয়ে ফেলে। সঙ্গে সঙ্গে শিশুটির ওজনে কাপড়টি ছিঁড়ে যায়। শিশুটি পড়ে যায় গভীর কুয়োয়। তার মা তাকে উদ্ধারের অনেক চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁর পক্ষে গভীর কুয়ো থেকে শিশুটিকে বের করে আনা সম্ভব হয়নি।

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা টানা ৫ দিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ গভীর কুয়ো থেকে উপরে তুলে আনেন শিশুটিকে। তাকে কুয়োর ১২৫ ফুট গভীরতা থেকে উদ্ধার করা হয়। শিশুটিকে উদ্ধার করার জন্য ৩৬ ইঞ্চি চওড়া আরও একটি কুয়ো খোঁড়া হয় ওই পরিত্যক্ত কুয়োটির পাশে। তোলার পর চণ্ডীগড়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হলে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন- ছাত্রীদের নগ্ন করে পরীক্ষা, বিক্ষোভ উত্তাল পঞ্জাবের বিশ্ববিদ্যালয়​

আরও পড়ুন- শিক্ষক ও অভিভাবকদের বৈঠক চলাকালীন পঞ্জাবের স্কুলে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ​

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শিশুটিকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কুয়োর কাছেই রাখা ছিল একটি চপার। কিন্তু সেই চপারে না তুলে গাড়িতে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ১৫০ কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে। শিশুটিকে কোনও খাবার বা জল দেওয়া সম্ভব হয়নি। দেওয়া হয়েছিল শুধুই অক্সিজেন।

(_) এই গাফিলতির প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা গত কাল বিক্ষোভ দেখানোর পর টুইট করে এই ঘটনায় গভীর দুঃখপ্রকাশ করেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ। তিন শিশুটির পরিবারের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেন।

এই গাফিলতির প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা গত কাল বিক্ষোভ দেখানোর পর টুইট করে এই ঘটনায় গভীর দুঃখপ্রকাশ করেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ। তিন শিশুটির পরিবারের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেন।

(_)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন