পুলওয়ামা কাণ্ডের প্রত্যাঘাত। নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক জঙ্গি ঘাঁটিতে অভিযান চালাল ভারত। ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান ‘মিরাজ ২০০০’-এর ১২টি ফাইটার জেট অভিযান চালায় জঙ্গিঘাঁটিতে। এই যুদ্ধ বিমান সম্পর্কে জানেন?
এই মিরাজ ২০০০ পাক আকাশে ঢুকে বালাকোট সেক্টরে প্রত্যাঘাত করে। মাল্টিরোল সিঙ্গল ইঞ্জিন এই চতুর্থ প্রজন্মের জেটটি দাসো এভিয়েশনের সহায়তায় তৈরি।
১৯৭০ দশকের শেষের দিকে লাইটওয়েট ফাইটার হিসেবে এটি তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে বেশ কয়েকটি ‘স্ট্রাইক ভ্যারিয়ান্ট’ তৈরি করা হয়।
এটিতে রয়েছে মারাত্মক শক্তিশালী রাডার। যার ফলে লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করতে পারে সহজেই, ডপলার বিমিং প্রযুক্তির মাধ্যমে ভূমিতে থাকা যে কোনও বস্তুর নিখুঁত মানচিত্র এঁকে ফেলতে সক্ষম।
মাটিতে থাকা যে কোনও চলন্ত বস্তুকেও নিশানা করতে সক্ষম এই যুদ্ধবিমান। অত্যন্ত শক্তিশালী এই যুদ্ধবিমানের অতি সম্প্রতি আধুনিকীকরণ হয়েছে।
এই ফাইটার জেটের চালকের হেলমেটের মধ্যেই থাকে ডিসপ্লে, এর ফলে সুপারইমপোজড রাডার ডেটা দেখতে পারেন তিনি। ককপিটে ডিসপ্লে থাকার প্রয়োজন হয় না।
হেলমেটের মধ্য দিয়ে দেখলে যেদিকে প্রত্যাঘাত করতে চাওয়া হয়, সেদিকে মাথাটা ঘোরালেই হবে। সেই অনুযায়ী বোমা নিক্ষেপও নিয়ন্ত্রিত হবে।
পাকিস্তানের বায়ুসেনা বাহিনীর এফ-১৬ যুদ্ধবিমানকে পাল্লা দিতে পারে এই মিরাজ ২০০০। ‘মিরাজ ২০০০ নিজের সুরক্ষাও করতে পারে, আবার আঘাতও হানতে পারে। যা পাকিস্তানের কাছে নেই,’ বলছে বায়ুসেনা সূত্র।
এমআই-৮ হেলিকপ্টার ও মিগ-২১ ও মিগ-২৭ তুলনায় মিরাজ ২০০০ আরও শক্তিশালী।
এটিতে মিগের তুলনায় উন্নততর সামরিক সরঞ্জামই শুধু ছিল না, বরং রাতেও অনেকটা সময় নিয়ে বিমান হানা চালানোর ক্ষমতা রাখে। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান সহজেই প্রবেশ করেছে।
মিরাজগুলি সফল ভাবে কার্গিলে শত্রুশিবির ও রসদ ক্যাম্পে হানা দেয় এবং কয়েকদিনের মধ্যেই শত্রুদের সরবরাহ ব্যবস্থাটিকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে সক্ষম হয়েছিল। বেঙ্গালুরুতে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল) বিমানবন্দরে প্রশিক্ষণ নেয় এই লড়াকু বিমান মিরাজ ২০০০।