পঞ্জাব পুলিশের অভিযানে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত।
ভারতে অস্ত্রপাচারের চেষ্টা করছে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর মদতপুষ্টেরা! রবিবার ভোরে পঞ্জাবের অমৃতসরে এক অভিযানে এমনটাই তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। উদ্ধার হয়েছে রাইফেল, পিস্তল, প্রচুর কার্তুজ এবং লক্ষাধিক নগদ টাকা। পাকড়াও করা হয়েছে পাঁচ অস্ত্রপাচারকারীকেও।
অমৃতসর লাগোয়া এলাকায় পাক গুপ্তচর সংস্থার মদতপুষ্টেরা অস্ত্রপাচারের চেষ্টা করছে বলে আগে থেকেই খবর গোয়েন্দাদের কাছে। সেই সূত্র ধরেই কেন্দ্রীয় সংস্থার সাহায্য নিয়ে অভিযান চালায় অমৃতসর গ্রামীণ পুলিশ। ওই অভিযানেই উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজ। হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় পাঁচ জনকে। যদিও পঞ্জাবের কোন এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে, তা প্রকাশ্যে আনেনি পুলিশ। পঞ্জাব পুলিশের ডিজি গৌরব যাদব জানিয়েছেন, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর মদতপুষ্ট হ্যান্ডলারেরাই এই অত্যাধুনিক অস্ত্রপাচার চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে।
পঞ্জাবের পুলিশপ্রধান যাদব জানান, এই অভিযানে অন্যতম পাঁচ মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম জোবানজিৎ সিংহ ওরফে জোবান, গোরা সিংহ, শেনশান ওরফে শালু, সানি সিংহ এবং জসপ্রীত সিংহ। গ্রেফতার হওয়া পাঁচজনই পঞ্জাবের বাসিন্দা। তাঁদের থেকে একটি একে সাইগা ৩০৮ রাইফেল, দু’টি ম্যাগাজ়িন, দু’টি গ্লক পিস্তল, একে রাইফেলের ৯০টি কার্তুজ, ৯এমএম পিস্তলের ১০টি কার্তুজ, নগদ সাড়ে সাত লক্ষ টাকা, একটি গাড়ি এবং তিনটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে, তা আসলে মাদক পাচারের টাকা বলে প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা।
বস্তুত, পঞ্জাবে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত দিয়ে প্রায়শই অস্ত্র এবং মাদক পাচারের চেষ্টা করে পাকিস্তানি পাচারকারীরা। সীমান্তবর্তী এলাকায় টহলদারির সময় সাম্প্রতিক অতীতে বেশ কিছু সন্দেহজনক ড্রোন উদ্ধার হয়েছে। সেগুলি মূলত সীমান্তের ও পার থেকে মাদক পাচারের জন্যই ব্যবহার হত বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। ঘটনাচক্রে শনিবারও অমৃতসর পুলিশ প্রায় ৬ হাজার কেজি হেরোইন-সহ চার মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে।