—প্রতীকী চিত্র।
তিন সন্তানকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন এক মহিলা। মহারাষ্ট্রের ঠাণের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, পারিবারিক অশান্তির জেরে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানান ২৭ বছরের ওই যুবতী। তিন কন্যাকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েও এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছেন স্বামীকে।
ঠাণের সাহাপুরের আসনোলি গ্রামের বাসিন্দা সন্ধ্যা বেড়ে এবং সন্দীপ বেড়ে। দম্পতির তিন কন্যাসন্তানের বয়স যথাক্রমে ৫, ৮ এবং ১০ বছর। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২০ জুলাই তিন নাবালিকাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। বার বার বমি করছিল তিন জন। প্রথমে তাদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু তিন জনেরই শারীরিক পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হয়। পরে দুই বোনকে মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। তৃতীয় জনকে নিয়ে যাওয়া হয় নাসিকের একটি হাসপাতালে। ২৪ জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই বোনের মৃত্যু হয়। তৃতীয় জন মারা যায় গত ২৫ জুলাই।
চিকিৎসকেরা জানান, তিন নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে খাবারে বিষক্রিয়ার কারণে। কী খেয়েছিল তিন মেয়ে? মাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তার পরেই খুনের কথা স্বীকার করে নেন যুবতী। তিনি জানান, সংসারে অশান্তির জেরে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, স্বামী নিত্যদিন মদ্যপান করে বাড়িতে ঢোকেন। এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে ঝগড়া হয়। মদের প্রতি স্বামীর এই আসক্তির জন্য পরিবারে যত অশান্তি। হতাশায় তিন মেয়েকে ভাতে বিষ খাইয়ে নিজেকেও শেষে করে দিতে চেয়েছিলেন তিনি।
তিন মেয়েকে খুনের অভিযোগে রবিবার ওই যুবতীর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। অন্য দিকে, ধৃতের শ্বশুর-শাশুড়ি তাঁর কড়া শাস্তি চেয়েছেন। তাঁদের দাবি, ছেলে এমন কিছু করেননি যার জেরে তিন সন্তানকে মেরে ফেলতে হল। বৌমার দৃষ্টান্তমূলক সাজা চেয়েছেন তাঁরা। মহিলার স্বামীর খোঁজ পায়নি পুলিশ।