রেখা-সচিন কোথায়?

তারকারা সাংসদ হন ঠিকই। কিন্তু সংসদে আসেন না। আগ্রহ না থাকলে তাঁরা ইস্তফা দেন না কেন, প্রশ্ন উঠল রাজ্যসভায়। সরাসরি রেখা এবং সচিন তেন্ডুলকরের নাম করেই বিষয়টি উত্থাপিত হল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৭ ০৩:২২
Share:

সচিন তেন্ডুলকর ও রেখা

তারকারা সাংসদ হন ঠিকই। কিন্তু সংসদে আসেন না। আগ্রহ না থাকলে তাঁরা ইস্তফা দেন না কেন, প্রশ্ন উঠল রাজ্যসভায়। সরাসরি রেখা এবং সচিন তেন্ডুলকরের নাম করেই বিষয়টি উত্থাপিত হল।

Advertisement

রেখা কিংবা সচিন, দু’জনেই রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য। ২০১২ সালে তাঁরা সাংসদ হয়েছিলেন। আগামী বছর ২৬ এপ্রিল তাঁদের মেয়াদ এমনিতেই শেষ হচ্ছে। কিন্তু অধিবেশনের পর অধিবেশন গড়িয়ে যায়, সংসদে তাঁদের টিকি দেখা যায় না। কালেভদ্রে কখনও-সখনও আসেন। চলতি বাজেট অধিবেশনে এখনও অবধি ১৩ দিন রাজ্যসভা বসেছে। রেখা বা সচিন এক দিনও আসেননি। আসেননি নরেন্দ্র যাদবও। মেরি কম বরং আট দিন ছিলেন।

শুধু তাই নয়। একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গোটা মেয়াদে রেখার উপস্থিতির হার ছিল ৫ শতাংশ। কোনও বিতর্কে অংশ নেননি, কোনও প্রশ্ন করেননি। কোনও প্রাইভেট মেম্বার বিল আনেননি। সচিনের উপস্থিতি ৮ শতাংশ।

Advertisement

আরও পড়ুন: গরমের ছুটিতেই হবে তিন তালাকের শুনানি, আপত্তি উড়িয়ে জানাল সুপ্রিম কোর্ট

কোনও বিতর্কে অংশ নেননি, কোনও প্রাইভেট মেম্বার বিল আনেননি। তবে ২২টি প্রশ্ন করেছেন।

মনোনীত সদস্যদের অনুপস্থিত থাকার রেওয়াজ অবশ্য বহু পুরনো। তা নিয়ে সাংসদদের মধ্যে অসন্তোষও নতুন নয়। আজ সেটাই সামনে এসে গেল। সমাজবাদী পার্টির সাংসদ নরেশ অগ্রবাল রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করে বললেন, ‘‘মনোনীত সদস্যরা সংসদে আসেন না। গোটা অধিবেশনে তাঁদের এক দিনও দেখলাম না। আগ্রহ নেই বলেই আসছেন না। তা হলে ইস্তফা দিয়ে দিন!’’ বাকি সাংসদদেরও অনেকেরই বক্তব্য, বাইরের যাবতীয় অনুষ্ঠানে তারকা সাংসদদের সক্রিয় থাকতে দেখা যায়। এমনকী কেউ কেউ সংসদ চলার সময় দিল্লিতেও অনুষ্ঠান করেছেন, অথচ সংসদে আসেননি বলে অভিযোগ।

এ দিন ডেপুটি চেয়ারম্যান নিজে অবশ্য তারকাদের ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি। কিন্তু সাংসদরা নিজেরাই তারকাদের চিঠি লিখে তাঁদের অসন্তোষ জানাতে চেয়েছেন। অতীতে তৃণমূলের সাংসদ হিসেবে মিঠুন চক্রবর্তীর অনুপস্থিতি নিয়েও অসন্তোষ জমা হয়েছিল। পরে অবশ্য মিঠুন ইস্তফাই দিয়ে দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন