National News

মডেলের অস্বাভাবিক মৃত্যু, যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন

মডেল সোনিকা সিংহ চৌহানের মৃত্যুতে তোলপাড় হচ্ছে কলকাতা। এর মধ্যে আরও এক উঠতি মডেলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৭ ১৭:৪৯
Share:

— প্রতীকী ছবি।

মডেল সোনিকা সিংহ চৌহানের মৃত্যুতে তোলপাড় হচ্ছে কলকাতা। এর মধ্যে আরও এক উঠতি মডেলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল।

Advertisement

মডেলিংকেই কেরিয়ার হিসেবে নেওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। সেই লক্ষে কাজও শুরু করেছিলেন। কিন্তু স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল মধ্যপ্রদেশের ইনদওরের ২৩ বছরের তরুণী অনামিকা দুবের। সম্প্রতি রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১১ মে অনামিকার মৃত্যু হয়। গত ১২ মে দেহের ময়নাতদন্তের পরই বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর বিষয় প্রকাশ্যে আসে। যা থেকে প্রাথমিক অনুমান, খুন করা হয়েছে অনামিকাকে।

ঠিক কীভাবে মৃত্যু হল অনামিকার? জানা গিয়েছে, ঘটনার দু’দিন আগে থেকেই গ্বালিয়রে বন্ধু ধীরজ শর্মার বাড়িতে ছিলেন অনামিকা। পরে ধীরজ পুলিশকে জানান, বছর দুয়েক ধরে অনামিকার সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ধীরজ পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, গত ১১ মে সকাল থেকেই বমি হচ্ছিল অনামিকার। তখন ধীরজ চিকিত্সকের কাছে অনামিকার জন্য ওষুধ আনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু অনামিকাকে না দেখে নাকি ওষুধ দিতে চাননি চিকিত্সক। বাড়ি ফেরার পর ধীরজ দেখেন অনামিকার অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে। তখন বাকি দুই বন্ধুর সাহায্যে অনামিকাকে চৈত্রম হাসপাতালে নিয়ে যান ধীরজ। সেখানে চিকিত্সকরা অনামিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশের তরফ থেকে দ্রুত খবর দেওয়া হয় অনামিকার বাবা-মাকে।

Advertisement

আরও পড়ুন, সোনিকা তদন্তে চৌহানদের তোপ পুলিশকেই

পরে অনামিকার দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। শরীরে ছেঁচড়ে যাওয়ার কিছু চিহ্নও মিলেছে। ধীরজের বক্তব্যেও অসঙ্গতি রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। পাশাপাশি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনামিকার এক বন্ধু বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, অনামিকার পরিবার খুব রক্ষণশীল। ফলে দু’দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে থাকাটা কখনওই মেনে নেওয়ার কথা নয় অনামিকার পরিবারের। সপ্তাহখানেক আগেই অনামিকার বাবার ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছে।

মধ্যপ্রদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ সুপার রাকেশ সিংহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। অনামিকার পরিবার ও বন্ধুদের জেরা করা হবে। ময়নাতদন্তের পর ওর দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে পরিবারের হাতে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন