Qutab Minar

Qutab Minar: কুতুবুদ্দিন আইবক নন, সূর্যের অবস্থান দেখতে কুতুব মিনার বানান রাজা বিক্রমাদিত্য!

সূর্যের অবস্থান পর্যবেক্ষণের জন্য এই মিনারটি বানানো হয়। এই বিস্ফোরক দাবি করেছেন এএসআই-এর প্রাক্তন আঞ্চলিক অধিকর্তা ধর্মবীর শর্মা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২২ ১৫:৪৩
Share:

কুতুব মিনার। ফাইল চিত্র।

কুতুবুদ্দিন আইবক নন, সূর্যের অবস্থান দেখতে পঞ্চম শতাব্দীতে কুতুব মিনার বানিয়েছিলেন রাজা বিক্রমাদিত্য। বিস্ফোরক দাবি করলেন ভারতীয় সর্বেক্ষণ বিভাগের (এএসআই) প্রাক্তন আঞ্চলিক অধিকর্তা ধর্মবীর শর্মা।

Advertisement

তাঁর কথায়, “এটা কুতুব মিনার নয়। সূর্যের অবস্থান পর্যবেক্ষণকারী মিনার। পঞ্চম শতকে রাজা বিক্রমাদিত্য এই মিনার বানিয়েছিলেন। আমার কাছে এ বিষয়ে অনেক প্রমাণ আছে।” এএসআই-এর হয়ে তিনি অনেক বার কুতুব মিনারের সমীক্ষাও করেছেন বলে দাবি ধর্মবীরের।

এএসআইয়ের এই আধিকারিকের আরও দাবি, সূর্যের উত্তরায়ণ এবং দক্ষিণায়ণের মধ্যবর্তী সময় অর্থাৎ ২১ জুন সূর্যের অবস্থান পর্যবেক্ষণের জন্য এই মিনারটি বানানো হয়। এই মিনারটি ২৫ ইঞ্চি হেলানো। সূর্যের আলোয় যাতে মিনারের কোনও ছায়া না পড়ে সেই ভাবেই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বানানো হয়েছিল এই মিনার।

Advertisement

তার আরও দাবি, কুতুব মিনার একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ স্থাপত্য। এর কাছে থাকা মসজিদের সঙ্গে এই মিনারের কোনও সম্পর্ক নেই। এমনকি কুতুব মিনারের দরজাও উত্তরমুখী। ধ্রুবতারাকে দেখতেই মিনারের দরজা উত্তরমুখী করা হয়েছে।

গত বছরে অভিযোগ উঠেছিল, ২৭টি হিন্দু এবং জৈন মন্দির আংশিক ভাবে ভেঙে নিজের নামাঙ্কিত মিনার বানিয়েছিলেন কুতুবুদ্দিন আইবক! মিনার চত্বরে হিন্দু এবং জৈন মন্দির পুনর্নির্মাণের দাবিতে দিল্লির সাকেত আদালতে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছিল।

সাকেত আদালতের বিচারক নেহা শর্মা বৃহস্পতিবার মন্দির পুনর্নির্মাণের দাবি খারিজ করে বলেন, ‘‘ভারতের ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজবংশ শাসন এসেছে। আবেদনকারী পক্ষ ‘জাতীয় লজ্জার’ প্রসঙ্গ তুলেছেন। কিন্তু কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না, অতীতে ঘটে যাওয়া অন্যায়কে ভবিষ্যতের অশান্তির ভিত্তি হতে দেওয়া যায় না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন