তেজস্বীপ্রসাদ ও তেজপ্রতাপ।— ফাইল চিত্র
রাজনীতিময় জীবন তাঁর। চূড়ান্ত ব্যস্ততায় কাটে দিন-রাত। এমনকী, বেশ কয়েকটি মামলায় তাঁকে বার কয়েক জেলেও থাকতে হয়েছে। তাই, সংসারের দিকে কখনওই তেমন ভাবে নজর দিতে পারেননি লালুপ্রসাদ যাদব। গোটাটাই নিজে হাতে সামলেছেন লালু-পত্নি রাবড়ি দেবী। একা হাতেই মানুষ করেছেন সাত মেয়ে, দুই ছেলেকে। সংসারের সব দিকেই তাঁর মমতাময় নজর। এমনকী, তিনি যখন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তখনও এর অন্যথা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী আবাসেই অবলিলায় গরু পুষেছেন। আর লালু ‘নিশ্চিন্তে’ রাজনীতিটাই করে গিয়েছেন।
সেই লালু-পত্নী যে পুত্রবধূ হিসাবে নিজের মতো কোনও নারীই পছন্দ করবেন, তাতে আর আশ্চর্য কী! যাদব দম্পতির দুই ছেলে তেজপ্রতাপ আর তেজস্বীপ্রসাদের বিয়ের বয়স হয়েছে। দু’জনেই বিহারে বর্তমান নীতীশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। দুই পাত্রের জন্য এ বার পাত্রী খুঁজছেন মা। তবে, পুত্রবধূ কেমন হবে তা নিয়ে স্পষ্ট মত রয়েছে রাবড়ি দেবীর। ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, তিনি যেমন, পুত্রবধূও তেমনটা চাই। রবিবার আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের ৭০তম জন্মদিন ছিল। সেখানেই রাবড়ি জানান, দুই ছেলের বিয়ের বয়স হয়েছে। তাঁদের জন্য পাত্রীর খোঁজ চলছে।
কেমন পাত্রী চাই?
রাবড়ি দেবীর সাফ কথা, শিক্ষিত মেয়ে চাই। সিনেমা হল, শপিং মলে যাওয়া মেয়ের কোনও দরকার নেই। পুত্রবধূকে সংসারী হবে। বড়দের শ্রদ্ধা-সম্মান করবে এমন মেয়েই দরকার। তিনি আরও জানান, তাঁর দুই ছেলে বিশেষ করে তেজপ্রতাপ খুবই ধার্মিক। ছেলেদের সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারবে, এমন মেয়েকেই পুত্রবধূ হিসাবে দেখতে চায় যাদব পরিবার। তবে পাত্র হিসাবে কে বেশি যোগ্য, তা নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে নাকি একটা ঠান্ডা লড়াই আছে। দু’জনের প্রত্যেকে মনে করেন, তিনিই বেশি যোগ্য।
সম্প্রতি, একটি খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা পূর্ত ও সড়ক মন্ত্রী তেজস্বী যাদবকে উদ্দেশ করে গুচ্ছ গুচ্ছ প্রেমের প্রস্তাব এসেছে দফতরের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে। শুধু বিহার নয়, দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাব, গুজরাত এবং মহারাষ্ট্র থেকেও প্রস্তাব এসেছে। প্রায় ৪৪ হাজার ‘প্রণয় বার্তা’য় উপচে পড়েছিল ওই হোয়াটস অ্যাপ নম্বর। দফতরের নম্বরে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব আসার বিষয়টি জানতেন তেজস্বী নিজেও। ছেলের ওই জনপ্রিয়তায় বিস্তর খুশি হয়েছিলেন যাদব কুলপতি লালুপ্রসাদ। সেই সময় বলেছিলেন, ‘‘মেয়ে ভাল হলে জাতপাত নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না। তেজস্বীর বিয়ে দিয়ে দেব।’’ কিন্তু, বড় ছেলের বিয়ে না হলে ছোট ভাইয়ের বিয়ে হবে কী করে ভেবে যাদব পরিবারের ঘনিষ্ঠদের চোখ কপালে উঠেছিল। সেই ঘটনায় নাকি কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন তেজপ্রতাপ।
লালুর জন্মদিনে যদিও কোনও ছেলের নাম আর আলাদা করে উচ্চারণ করেননি রাবড়ি দেবী। শুধু জানিয়েছেন, নিজের মতোই পাত্রী চাই।