National News

রাফাল: ফ্রান্সের সঙ্গে পিএমও-র সমান্তরাল আলোচনায় আপত্তি জানিয়েছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বরের একটি বিশেষ নোটে তদানীন্তন প্রতিরক্ষা সচিব জি মোহন কুমার এই কথা জানিয়েছিলেন তদানীন্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পর্রীকরকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চেন্নাই শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:৩৫
Share:

রাফাল যুদ্ধবিমান। - ফাইল ছবি।

রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তির সময় ফরাসি সরকারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) যে আলাদা ভাবে আলোচনা চালাচ্ছিল, তার তীব্র বিরোধিতা করেছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তাদের বক্তব্য ছিল, ‘‘পিএমও এ ব্যাপারে আলাদা ভাবে ফরাসি সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালানোয়, দর কষাকষিতে অসুবিধা হচ্ছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও ভারতের মধ্যস্থতাকারী দলের।’’

Advertisement

২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বরের একটি বিশেষ নোটে তদানীন্তন প্রতিরক্ষা সচিব জি মোহন কুমার এই কথা জানিয়েছিলেন তদানীন্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পর্রীকরকে।

একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য হিন্দু’-র একটি তদন্তমূলক প্রতিবেদন এ কথা জানিয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওই বিশেষ নোটে বলা হয়েছিল, ‘‘পিএমও-কে আমরা একটা কথাই বলতে চাই। তা হল, রাফাল কেনার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভারতের যে মধ্যস্থতাকারী দলের উপর, তার বাইরে থাকা অন্য অফিসাররা যেন এ ব্যাপারে ফরাসি সরকারের সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে আলাপ-আলোচনা না চালান। এতে মন্ত্রকের কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রক ও মধ্যস্থতাকারীরা যে ভাবে এগোচ্ছেন, পিএমও-র অফিসাররা এগোচ্ছেন তার উল্টো দিকে। পিএমও যদি এ ব্যাপারে মন্ত্রকের কাজকর্মের উপর আস্থা রাখতে না পারে, তা হলে পিএমও কী চাইছে, আলোচনাটা কোন পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে, সেটা তারাই নতুন করে ঠিক করুক। আর সেই আলোচনাটা পিএমও-ই চালাক।’’

Advertisement

রাফাল বিতর্ক নিয়ে এগুলি জানেন?

সুপ্রিম কোর্টে রাফাল মামলায় গত অক্টোবরে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, রাফাল কেনার ব্যাপারে ফরাসি সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়েছিল ভারতের সাত সদস্যে একটি মধ্যস্থতাকারী দল। সেই দলের নেতৃত্বে ছিলেন তদানীন্তন ডেপুটি চিফ অফ এয়ার স্টাফ। ওই দলে পিএমও-র কোনও ভূমিকা ছিল বলে কেন্দ্রের তরফে শীর্ষ আদালতকে জানানো হয়নি।

আরও পড়ুন- প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ‘ফাঁস’ হওয়া নোট হাতে নিয়ে ফের মোদীকে তোপ রাহুলের​

আরও পড়ুন- বক্তৃতায় রাফাল উড়তেই তালির গর্জন সংসদে​

সর্বভারতীয় দৈনিকটির তদন্তমূলক প্রতিবেদন এও জানিয়েছে, তদানীন্তন প্রতিরক্ষা সচিব ওই নোট দিয়েছিলেন সেই সময়ের ডেপুটি সেক্রেটারি (এয়ার-টু) এস কে শর্মার নোটের ভিত্তিতে। যাতে সম্মতি ছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব ও অ্যাকুইজিশান ম্যানেজার (এয়ার) এবং মন্ত্রকের অ্যাকুইজিশান দফতরের ডিরেক্টর জেনারেলেরও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন