রাজ্যে সরকার গড়বে বিজেপি, দাবি রঘুবরের

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের ‘গুন্ডারাজ’ দমন করে আগামী দিনে বিজেপি সরকার আসবে। রাজ্যের শাসকদলকে বিঁধে এমনটাই দাবি করলেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। পুজো দিতে রবিবার সকালে তারাপীঠে এসেছিলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৫ ০৪:০৬
Share:

তারাপীঠে পুজো দিচ্ছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। —নিজস্ব চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের ‘গুন্ডারাজ’ দমন করে আগামী দিনে বিজেপি সরকার আসবে। রাজ্যের শাসকদলকে বিঁধে এমনটাই দাবি করলেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস।

Advertisement

পুজো দিতে রবিবার সকালে তারাপীঠে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রঘুবর বলেন, ‘‘রাজনীতিতে লড়াই হবে ঠিকই। কিন্তু, সেই লড়াইটা নীতি-আদর্শ নিয়ে হওয়া উচিত। পশ্চিমবঙ্গে গুন্ডামি করে বাম দল রাজ করেছিল। তৃণমূলও সে ভাবেই রাজত্ব করছে। এটা লোকতন্ত্রের পক্ষে ঠিক নয়।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘তৃণমূল এখানে গুন্ডাবাজি করে ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে। সাধারণ মানুষ যখন স্বচ্ছ ভাবে তাঁদের মতদান দিতে পারবেন, তখনই জনতা বামফ্রন্টের মতো তৃণমূল সরকারকেও উৎখাত করবে। তৃণমূলের গুন্ডারাজকে দমন করে পশ্চিমবাংলায় আগামী দিনে বিজেপি রাজত্ব করবে।’’ অন্য দিকে, বীরভূম সীমানা লাগোয়া শিকারিপাড়া থানা এলাকায় মাওবাদি কার্যকলাপ বন্ধে প্রশাসন বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। তিনি জানান, ঝাড়খণ্ডে কর্মহীনতা রয়েছে, গ্রামের বিকাশ ঠিক ভাবে হয়নি, দারিদ্রতাও আছে। সেগুলি মাথায় রেখে ১৪ বছর পরে বিজেপি-র যে স্থায়ী সরকার ঝাড়খণ্ডে এসেছে, তারা গ্রামের মানুষের আর্থিক উন্নতি সাধন, মানসিক বিকাশ ঘটানোর জন্য পদক্ষেপ করছে বলেই তাঁর দাবি। সামাজিক বিকাশ হলে ঝাড়খণ্ডে উগ্রবাদী কার্যকলাপ বন্ধ হবে বলেই রঘুবরের দাবি। সাহেবগঞ্জ, পাকুড় ও রাজমহল এলাকায় মুসলিম মৌলবাদী সংগঠনের সক্রিয়তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সাঁওতাল পরগনা জেলার উন্নতির জন্য গ্রামের মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করা হবে। এর জন্য নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’’ এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের সমাজকল্যাণ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী লুইস মারান্ডিও ছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement