কেজরী-টুইটে প্রধানমন্ত্রীই লক্ষ্য রাহুলের

আজ বিকেলে এক টুইটে সুকৌশলী শব্দচয়নে তিনি যতটা না বিঁধলেন কেজরীবালকে, তার থেকেও বেশি আক্রমণ করলেন নরেন্দ্র মোদীকে। দিল্লিতে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রবাবু নায়ডু, বিজয়ন, কুমারস্বামীরা কেজরীবালের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৮ ০৪:৩০
Share:

হাসপাতালের পথে: অনশনে অসুস্থ দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। সোমবার নয়াদিল্লিতে। পিটিআই

দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরীবালকে নিয়ে চলতি বিতর্কে অবশেষে মুখ খুললেন রাহুল গাঁধী।

Advertisement

আজ বিকেলে এক টুইটে সুকৌশলী শব্দচয়নে তিনি যতটা না বিঁধলেন কেজরীবালকে, তার থেকেও বেশি আক্রমণ করলেন নরেন্দ্র মোদীকে। দিল্লিতে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রবাবু নায়ডু, বিজয়ন, কুমারস্বামীরা কেজরীবালের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তেজস্বী যাদব, এম কে স্ট্যালিনের মতো কংগ্রেসের শরিক নেতারাও সমর্থন করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। এমনকি, এনডিএর শরিক শিবসেনার প্রধান উদ্ধব ঠাকরেও কথা বলেছেন কেজরীর সঙ্গে। আজ নীতীশ কুমারের দলের পবন বর্মাও পরোক্ষে কেজরীকেই সমর্থন করেছেন।

এই পরিস্থিতিতেও অজয় মাকেনের মতো দিল্লির কংগ্রেস নেতাদের চাপে প্রথমে মুখ খোলেননি রাহুল। পাছে দিল্লিতে কংগ্রেসের মধ্যে বিরূপ বার্তা যায়। তবে আসন্ন লোকসভা ভোটে দিল্লির সাতটি আসনের মধ্যে দু’টি কংগ্রেসকে ছাড়তে রাজি আছেন জানিয়ে দু’দিন আগেই কেজরী কংগ্রেস সভাপতিকে বার্তা পাঠিয়েছেন। মমতারাও আহমেদ পটেলের মতো নেতাকে বার্তা দিয়েছেন, ব্যক্তি-কেজরীবাল নন, আসল বিষয় হল, নরেন্দ্র মোদী যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত করছেন। তার বিরুদ্ধে এবং বৃহত্তর স্বার্থে পাশে থাকা উচিত কংগ্রেসের।

Advertisement

ভারসাম্য রেখেই রাহুল লেখেন, ‘‘দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী উপরাজ্যপালের দফতরে ধর্নায় বসেছেন। বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ধর্না দিচ্ছে। দিল্লির আমলারা সাংবাদিক সম্মেলন করছেন। আর এই অরাজকতায় প্রধানমন্ত্রী চোখ বন্ধ করে আছেন। বিশৃঙ্খলা আর অস্থিরতাকে বাড়তে দিচ্ছেন। এই নাটকের শিকার হচ্ছেন দিল্লিবাসীই।’’ বিজেপির পাল্টা বক্তব্য, ‘অজয় মাকেনরা উঠতে বসতে কেজরীবালকে তোপ দাগছেন, আর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে নরম মনোভাব নিচ্ছেন রাহুল। এতেই স্পষ্ট, কংগ্রেসের সঙ্গে আম আদমি পার্টির রফা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দের চাপেই রাহুলকে পিছোতে হচ্ছে। মমতা আজ দিল্লি ছাড়ার আগে চাণক্যপুরীতে বাংলা ভবনের সামনে তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। নেতৃত্ব দেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, মনোজ তিওয়ারিরা। রূপা বলেন, ‘‘বাংলা সামলাতে না পেরে এখন দিল্লি এসে ভারত-জয়ের স্বপ্ন দেখছেন মমতা।’’

এ দিকে, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়াও আজ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ এক মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে দিল্লি হাইকোর্টও। আদালতের মতে, কোন এক্তিয়ারে কারও বাড়ি ঢুকে এভাবে ধর্না দেন মুখ্যমন্ত্রী?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন