রাহুল গাঁধী।
রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচনে শাসক জোটের কাছে পরাজয় হয়েছে গত কাল দুপুর ১২টার মধ্যে। অথচ দুপুর ১টায় কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম মিলিয়ে ১১টি বিজেপি-বিরোধী দল রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়ে অসমের খসড়া নাগরিক পঞ্জির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসে। ঐক্যের সেই উদাহরণ প্রচার করতে দলের নেতা এবং ‘মিডিয়া ম্যানেজার’দের আজ নির্দেশ দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এই সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়া, এমনকি ‘আপ’ প্রতিনিধিও। তৃণমূল থাকলেও সিপিএম প্রতিনিধি পাঠিয়েছিল কংগ্রেসের অনুরোধে। আর বিরোধীরা সমবেত ভাবে মুখপাত্র করেছিলেন সিপিএমের মহম্মদ সেলিমকে। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও আজ বলেন, তৃণমূল প্রতিনিধিদলে থাকলেও নাগরিক পঞ্জির সমবেত প্রতিবাদ জাতীয় বিষয় এবং খুব জরুরি!
কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাহুল এ দিন দলের সংসদীয় নেতাদের বলেছেন, বিরোধীদের ঐক্য না থাকলে রাষ্ট্রপতির কাছে একযোগে তাঁরা গেলেন কী করে? রাজ্যসভায় পরাজয় বিচ্ছিন্ন ঘটনা। দলের ‘মিডিয়া ম্যানেজার’দেরও তিনি বলেন, বিজেপির মিডিয়া সেল-এর দৌলতে বিরোধী জোট ছত্রভঙ্গ হয়েছে বলে প্রবল প্রচার চলছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীরা একজোট হবেন বলে পাল্টা প্রচার চালাতে হবে।
পাশাপাশি, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব গতকালের ঘটনা বিশ্লেষণ করে বুঝতে পারছেন, বিজেপির কৌশল এবং গোপনীয়তা সম্পর্কে আরও সতর্ক হতে হবে! দ্বিতীয়ত, আরও মনোযোগ দিয়ে দেখতে হবে শরদ পওয়ারের ভূমিকা। তৃতীয়ত, চন্দ্রবাবু নায়ডুকে বিরোধী জোটের কাছে টানতে আরও আলোচনা প্রয়োজন| চতুর্থত, আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল কাল রাজ্যসভা সদস্য সঞ্জয় সিংহকে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠালেও বিরোধী ফ্রন্টে থাকবেন না বলে আজ ঘোষণা করেছেন। তিনি দরকষাকষি করছেন| ফলে এ ক্ষেত্রেও আলাপ-আলোচনা চালাতে হবে।