আসরে রাহুল ও কেজরী, পেনশন নিয়ে চাপে মোদী

স্বাধীনতা দিবসের চব্বিশ ঘন্টা আগে সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্যদের ‘এক পদ এক পেনশন’-এর দাবি নিয়ে চাপের মুখে পড়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে বক্তৃতা দেওয়ার কথা মোদীর।স্বাধীনতা দিবসের চব্বিশ ঘন্টা আগে সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্যদের ‘এক পদ এক পেনশন’-এর দাবি নিয়ে চাপের মুখে পড়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে বক্তৃতা দেওয়ার কথা মোদীর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৫ ০৩:২৫
Share:

স্বাধীনতা দিবসের চব্বিশ ঘন্টা আগে সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্যদের ‘এক পদ এক পেনশন’-এর দাবি নিয়ে চাপের মুখে পড়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

শনিবার স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে বক্তৃতা দেওয়ার কথা মোদীর। তার আগে সেনাবাহিনীর এই পেনশনের দাবিকে উস্কে দিয়েছেন রাহুল গাঁধী ও অরবিন্দ কেজরীবাল। এই দাবি নিয়ে প্রায় দু’মাস ধরে যন্তরমন্তরে ধর্না দিচ্ছেন প্রাক্তন সেনাকর্মীরা। আজ দুপুরে সেখানেই পৌঁছন রাহুল। যদিও তাঁদের ধর্নাস্থলে রাহুলকে বক্তৃতা দিতে দেননি বিক্ষোভকারীরা। তবে মোদীর উপর চাপ সৃষ্টি করতে সংবাদমাধ্যমে এই দাবির পক্ষে সওয়াল করেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি। অনেকেই মনে করছেন, যা পরিস্থিতি তাতে কাল হয়তো স্পর্শকাতর বিষয়টিকে এড়িয়ে যেতে পারবেন না প্রধানমন্ত্রী। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পর্রীকর মন্তব্য করেছেন, ‘‘এই পেনশন চালু করতে পদ্ধতিগত কিছু অসুবিধা রয়েছে। যদিও সরকার প্রতিশ্রুতি পালনে দায়বদ্ধ।’’ আর মোদী সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে রাহুলের মন্তব্য, ‘এক পদ এক পেনশন’ কবে চালু হবে, সেই তারিখের ঘোষণা হোক।

সরকারের সঙ্কট বেড়েছে প্রাক্তন সেনাকর্মীদের ধর্না নিয়েও। যন্তরমন্তরে ৬২ দিন ধর্নায় বসে আছেন তাঁরা। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে শহরে এমন কর্মসূচি চলতে দিতে রাজি ছিল না পুলিশ। রাজধানীর নিরাপত্তার দিকে তাকিয়েই ধর্না তুলতে চাইছিল তারা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দিল্লি পুলিশ যন্তরমন্তর থেকে তাঁদের তুলে দিতে এসে জোর খাটিয়েছে। তবে এই ধর্না নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীবাল প্রাক্তন সেনাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। শান্তিপূর্ণ এই আন্দোলন কী ভাবে দেশের নিরাপত্তার জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে, সেই প্রশ্ন তুলে পেনশনের দাবি মেটাতে প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তবে বিতর্ক সৃষ্টি হতেই শেষ পর্যন্ত দিল্লি পুলিশও নিয়ন্ত্রিত ভাবে যন্তরমন্তরে ধর্নার সম্মতি দিয়েছে।

Advertisement

‘এক পদ এক পেনশন’-এর দাবিটি দীর্ঘদিনের। সরকারি সূত্রের খবর, এই ব্যবস্থা চালু করতে সরকারের প্রায় কুড়ি হাজার কোটি টাকা খরচ হতে পারে। এখন মোদী লালকেল্লা থেকে কী বলেন, সেটাই দেখার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement