আপনারা মিত্রোঁ, ওঁরা ভাই, খোঁচা রাহুলের

নরেন্দ্র মোদী দেশের আমজনতাকে ‘মিত্রোঁ’ সম্বোধন করেন। আর নীরব মোদী, মেহুল চোক্সীদের ডাকেন ‘ভাই’। মধ্যপ্রদেশে ভোটের প্রচারে এই ভাষাতেই আক্রমণে রাহুল গাঁধী। তাঁর অভিযোগ, মোদীর হৃদয়ে গরিব মানুষের জায়গা নেই। কেউ স্যুট-বুট না পরলে তাঁকে ভাই ডাকতে পারেন না প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

দতিয়া (মধ্যপ্রদেশ) শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:২১
Share:

সূচনা: মধ্যপ্রদেশে রাহুল গাঁধীর ভোটের প্রচার শুরু মা পীতাম্বরা পীঠ মন্দিরে পুজো দিয়ে। সোমবার রাজ্যের বেশ কয়েকটি মন্দিরে যান কংগ্রেস সভাপতি। —নিজস্ব চিত্র।

নরেন্দ্র মোদী দেশের আমজনতাকে ‘মিত্রোঁ’ সম্বোধন করেন। আর নীরব মোদী, মেহুল চোক্সীদের ডাকেন ‘ভাই’। মধ্যপ্রদেশে ভোটের প্রচারে এই ভাষাতেই আক্রমণে রাহুল গাঁধী। তাঁর অভিযোগ, মোদীর হৃদয়ে গরিব মানুষের জায়গা নেই। কেউ স্যুট-বুট না পরলে তাঁকে ভাই ডাকতে পারেন না প্রধানমন্ত্রী।

Advertisement

এর আগে মোদী সরকারকে গরিব-বিরোধী ‘স্যুট-বুটের সরকার’ হিসেবে তুলে ধরে টানা আক্রমণ করে গিয়েছেন রাহুল। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগেও সেই ভাষাই শোনা গেল কংগ্রেস সভাপতির কথায়। রাহুল এ দিন বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মেহুল চোক্সীকে ডাকেন, মেহুল ভাই। নীরব মোদীকে, নীরব ভাই। অনিল অম্বানীকে বলেন, অনিল ভাই। কিন্তু উনি কখনও গরিব খেটে খাওয়া মানুষ কিংবা চাষিদের ভাই বলেন না, জড়িয়েও ধরেন না। গরিবের জন্য ওঁর হৃদয়ে কোনও জায়গা নেই। কেউ স্যুট-বুট না পরলে ওঁর ভাই হতে পারেন না।’’ রাহুলের অভিযোগ, গুজরাতে যখন দলিত, সংখ্যালঘুদের উপরে আক্রমণ হয়, মুখ খোলেন না মোদী। তবে দেশে উন্নয়নের যাবতীয় কৃতিত্ব নিজে নিতে তৎপর হন। জনতার উদ্দেশে কংগ্রেস সভাপতির মন্তব্য, ‘‘এটা আপনাদের পূর্বপুরুষদের অপমান। কারণ, এত যুগ ধরে দেশ গড়ছেন তাঁরাই।’’

রাহুল এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ দু’জনেই আজ ছিলেন মধ্যপ্রদেশে। সকালে গ্বালিয়রে অচলেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে যান রাহুল। সেখান থেকে দাতিয়া পৌঁছেই পীতাম্বরা পীঠ মন্দিরে পৌঁছন তিনি। ১৯৭৯ সালে ইন্দিরা গাঁধী এখানে এসেছিলেন। ১৯৮০-তে ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে ফের এই মন্দিরে হাজির হন তিনি। রাজীব গাঁধীও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে এখানে পুজো দিতে এসেছিলেন। এই মন্দিরে পুজো সেরেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় সভা করেন রাহুল। রাফাল দুর্নীতির অভিযোগ থেকে শুরু করে নীরব কোলেঙ্কারির কথা তুলে ধরে নিশানা করেন মোদী সরকারকে। ব্যাপম কেলেঙ্কারির কথা টেনে আক্রমণ করেন রাজ্যের শিবরাজ সিংহ চৌহান সরকারকে।

Advertisement

রাহুলের যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে অমিত তুলে ধরেন মোদী সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের কথা। তাঁর দাবি, কংগ্রেস মধ্যপ্রদেশকে ‘বিমারু’ রাজ্য করে রেখেছিল। কিন্তু শিবরাজ সিংহ চৌহানের সরকার মধ্যপ্রদেশের বিকাশ ঘটিয়েছে। জব্বলপুরে অমিতের মন্তব্য, ‘‘রাহুল বাবা বলছেন, মধ্যপ্রদেশে সরকার গড়বেন তাঁরা। আমি তাঁকে বলতে চাই, আপনি স্বপ্ন দেখতেই পারেন। কিন্তু চোখ খোলা রেখে দিবাস্বপ্ন দেখবেন না।’’ বিজেপি সভাপতি এ দিন দলের কর্মীদের চাঙ্গা করার চেষ্টা করেন। বলেন, ‘‘বিজেপি এখন দুনিয়ার সবচেয়ে বড় দল। আর দলের সব জয়ের পিছনেই থাকেন কর্মীরা। আর এ বার মধ্যপ্রদেশের ভোটেও বিজেপি কর্মীরা দলের জয় এনে দেবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন