উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব থেকে প্রশান্ত কিশোরকে সরিয়েই দিলেন রাহুল

প্রথমে নরেন্দ্র মোদী, পরে নীতীশ কুমার। ভোটের লড়াই জেতার কৌশল ঠিক করতে একটিই পেশাদারি মুখকে বেছে নিয়েছিলেন দু’জন। বিহারে নীতীশের সাফল্য দেখে সেই প্রশান্ত কিশোরকেই হিন্দি বলয়ের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের রণনীতি ঠিক করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাহুল গাঁধীও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:১২
Share:

প্রথমে নরেন্দ্র মোদী, পরে নীতীশ কুমার। ভোটের লড়াই জেতার কৌশল ঠিক করতে একটিই পেশাদারি মুখকে বেছে নিয়েছিলেন দু’জন। বিহারে নীতীশের সাফল্য দেখে সেই প্রশান্ত কিশোরকেই হিন্দি বলয়ের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের রণনীতি ঠিক করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাহুল গাঁধীও। কিন্তু প্রচারের মাঝপথে সেই প্রশান্তকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিলেন রাহুল। আপাতত কংগ্রেসের হয়ে শুধু পঞ্জাবে ভোটের কৌশল ঠিক করছেন এই ম্যানেজমেন্ট গুরু।

Advertisement

কিন্তু হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত?

কংগ্রেস সূত্রের মতে, প্রশান্ত পরামর্শ দিলেও তা নেওয়া না-নেওয়াটা যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের হাতে, আগেই তা বুঝিয়ে দিয়েছেন সনিয়া। তাই উত্তরপ্রদেশে মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসেবে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীকে সামনে নিয়ে আসার জন্য প্রশান্ত কিশোরের প্রস্তাব কংগ্রেস নেতৃত্ব মেনে নেননি। তাই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের প্রচারে প্রিয়ঙ্কাকে ব্যবহার করলেও মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে শীলা দীক্ষিতকে। দলের এক নেতার ব্যাখ্যা, প্রিয়ঙ্কাকে সামনে আনলেই রবার্টের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগকে সামনে এনে আক্রমণ শুরু করত বিজেপি, সনিয়া যা চাননি। সেই যুক্তিতেই প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

কংগ্রেস শিবিরের খবর, প্রশান্তকে যাবতীয় দায়িত্ব দেওয়ায় দলের নিচু তলার কর্মীরাও ক্ষুব্ধ। ক্ষোভ রয়েছে এআইসিসি-তেও। তাঁরা মনে করছেন, রণকৌশল যিনি ঠিক করেন, তাঁর থাকা উচিত পর্দার আড়ালে। কিন্তু প্রশান্ত সর্বদাই প্রচারের আলোয় থাকেন। এই সব কারণেই সনিয়ার পরামর্শে প্রশান্তকে উত্তরপ্রদেশ থেকে পঞ্জাবের ময়দানে সরিয়ে নিলেন রাহুল।

রণনীতি ঠিক করতে গত মাসে মুলায়ম ও অখিলেশ যাদবের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। তার পর থেকেই উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে না প্রশান্তকে। উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব পেয়েই তিনি ‘২৭ সাল ইউপি বেহাল’ কিংবা ‘কিষাণ যাত্রা’-র মতো প্রচার কর্মসূচি নিয়ে এগিয়েছিলেন। এই সব কাজে সব সময়েই তাঁকে সমর্থন দিয়ে গিয়েছে গাঁধী পরিবার। প্রচারে গিয়েছেন রাহুল। কিন্তু দলিতদের সমর্থন পেতে কংগ্রেস ‘শিক্ষা, সুরক্ষা, স্বাভিমান’ নামে যে প্রচার কর্মসূচি নিয়েছে, তা থেকে কিশোরকে পুরোপুরি বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। রবিবারই এ’টি শুরু হয়েছে। রাজ্যের প্রায় ৮৫টি দলিত অধ্যুষিত বিধানসভা কেন্দ্রে এই প্রচার চালানো হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন