পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজকুমার আগরওয়াল। ছবি: পিটিআই।
পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ার (এসআইআর) শুনানি পর্বের তদারকি করবেন কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকেরা। শুক্রবার সকালে এই নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকদের বিভিন্ন শুনানিকেন্দ্রে মাইক্রো অবজ়ার্ভার হিসাবে নিয়োগ করা হবে। এই দায়িত্ব পাবেন মূলত কেন্দ্রের গ্রুপ বি বা তার ঊর্ধ্বতন আধিকারিকেরা।
গত ১২ ডিসেম্বর মাইক্রো অবজ়ার্ভার নিয়োগ করতে চেয়ে কমিশনকে চিঠি দিয়েছিল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। শুক্রবার সেই চিঠির জবাবই এসেছে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে মাইক্রো অবজ়ার্ভার নিয়োগের অনুমতি দিয়েছে কমিশন। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের আধিকারিকদেরও এই কাজে নিয়োগ করা হতে পারে। শুনানি পর্বে নজরদারির জন্য মাইক্রো অবজ়ার্ভারেরা ৩০ হাজার টাকা সাম্মানিক পাবেন।
মাইক্রো অবজ়ার্ভারদের কাজ হবে মূলত এসআইআর-এর শুনানি পর্বে নির্বাচনী আধিকারিক (ইআরও) এবং সহকারী নির্বাচনী আধিকারিকদের (এইআরও) কাজে নজর রাখা। ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি এবং সংশোধনে তাঁরা সহযোগিতা করবেন। তাঁরা কাজ করবেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অধীনে। তাঁদের প্রশিক্ষণও দেবে সিইও দফতর। এনুমারেশন ফর্ম, ভোটারদের জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র এবং শুনানির জন্য আসা ভোটাদের নথি যাচাই করবেন মাইক্রো অবজ়ার্ভারেরাই। এ ছাড়া, ভোটার তালিকার অসঙ্গতি চিহ্নিত করা এবং পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণও তাঁদের দায়িত্বে থাকবে। জেলা নির্বাচনী আধিকারিকেরা (ডিইও) কেন্দ্রের এই আধিকারিকদের নিরাপত্তা ও যাতায়াতের বন্দোবস্ত করবেন।
গত ১১ ডিসেম্বর এনুমারেশন পর্ব শেষ হওয়ার পর ১৬ তারিখ প্রকাশ্যে এসেছে খসড়া ভোটার তালিকা। বাদ পড়েছে ৫৮ লক্ষের বেশি নাম। তার পর বৃহস্পতিবার থেকেই শুনানির জন্য ভোটারদের তলব করা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। কমিশন সূত্রে খবর, শুক্রবার থেকে শুনানির নোটিস পাবেন ভোটারেরা। ৩০ লক্ষের বেশি ভোটারকে ‘নো ম্যাপিং’ তালিকায় রেখেছে কমিশন। ২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে তাঁরা কোনও ভাবেই নিজেদের যোগ দেখাতে পারেননি। তাঁদের সকলকে শুনানিতে ডাকা হবে। এ ছাড়া, আরও লক্ষাধিক ভোটারের তথ্য কমিশনের সন্দেহজনক বলে মনে হয়েছে। শুনানিতে ডাক পাবেন তাঁরাও।