প্রধান বিচারপতিকে ‘ইমপিচ’ করার প্রস্তাব খারিজ হতেই নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা নষ্ট করার অভিযোগ আনলেন রাহুল গাঁধী। তাঁর মতে, সব প্রতিষ্ঠানে একের পর সঙ্ঘের বিচারধারার লোক বসানো হচ্ছে। রাহুলকে সামলাতে আসরে নেমেছেন খোদ অমিত শাহ।
সকালে উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু প্রধান বিচারপতিকে ‘ইমপিচ’ করতে আনা বিরোধীদের প্রস্তাবটি খারিজ করে দেন। এর ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই কংগ্রেসের ‘সংবিধান বাঁচাও’ মঞ্চে মোদীকে নিশানা করেন রাহুল। বলেন, ‘‘সাধারণত আম জনতা আদালতে বিচার চাইতে যায়। ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম চার বিচারপতি জনতার কাছে বিচার চেয়েছেন। সংবিধানের দৌলতেই সুপ্রিম কোর্ট-সহ নির্বাচন কমিশন, লোকসভা, রাজ্যসভা, বিধানসভার মতো প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টকে দমানোর চেষ্টা হচ্ছে। কেউ বলবেন না, শুধু মোদী বলবেন। তাঁর ‘মন কি বাত’ শোনা হবে।’’
রাহুলকে মোকাবিলা করতে দলের একগুচ্ছ নেতার সঙ্গে আজ নিজেও নামেন অমিত শাহ। বলেন, ‘‘প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রকে ‘ইমপিচ’ করার প্রস্তাব এনেই কংগ্রেস গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করার ঘৃণ্য কাজ করেছে। আর রাহুল গাঁধী আজ মোদী সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তা প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য অশোভনীয়। তাঁর হাস্যকর কথাবার্তা, লাগাতার হারে হতাশার প্রকাশ।’’ অমিতের কটাক্ষ, ‘‘রাহুলের ‘সংবিধান বাঁচাও’ আসলে নিজের ‘পরিবার বাঁচাও’ অভিযান।’’