ফের নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ রাহুল গাঁধীর।—ফাইল চিত্র।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে ফের নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ রাহুল গাঁধীর। বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে যে ভাবে হইচই পড়ে গিয়েছে, সম্প্রতি তার তীব্র সমালোচনা করেন প্রাক্তন সেনাকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি এস হুদা। এর পরেই শনিবার টুইটারে প্রধানমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন কংগ্রেস সভাপতি। এমনকি প্রধানমন্ত্রীকে ‘নির্লজ্জ’ বলেও উল্লেখ করেন। সেনাবাহিনীর কৃতিত্বকে নিজেদের রাজনৈতিক সম্পত্তিতে পরিণত করার অভিযোগ তোলেন বিজেপির বিরুদ্ধে।
২০১৬ সালে উরি হামলার পর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারতীয় সেনা। সেই সময় নর্দার্ন কম্যান্ডের দায়িত্বে ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি এস হুদা। শুক্রবার চণ্ডীগড়ে সেনা সাহিত্য উৎসবে হাজির ছিলেন তিনি। সেখানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে সবরকমের হইচই এবং রাজনৈতিক আস্ফালনের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। সেই খবর সামনে আসার পরই টুইটারে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রাহুল। তিনি লেখেন, ‘‘একজন সত্যিকারের সৈনিকের মতোই মন্তব্য করেছেন জেনারেল হুদা। মিস্টার ৩৬-এর মধ্যে বিন্দুমাত্র লজ্জাবোধ নেই। তাই সেনাবাহিনীর কৃতিত্বকে ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করেছেন। আবার রাফাল চুক্তিতে দুর্নীতি করে অম্বানির সম্পত্তির পরিমাণ একধাক্কায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন।’’
তাঁর মন্তব্য নিয়ে অবশ্য প্রথমে ধন্দে পড়ে যান নেটিজেনরা। মোদীকে সুযোগ পেলেই ‘মিস্টার ৫৬ ইঞ্চি’ বলে উল্লেখ করতেন রাহুল। হঠাৎ করে মোদীকে ‘মিস্টার ৩৬’ বললেন কেন তা বুঝে উঠতে পারেননি অনেকেই। ৫৬ লিখতে গিয়ে ভুল করে ৩৬ লিখে ফেলেছেন বলে দাবি করেছেন অনেকে। অনেকে আবার টেনে এনেছেন রাফাল চুক্তির প্রসঙ্গ। তাঁদের দাবি, ৩৬টি যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ। তাই মোদীকে ‘মিস্টার ৩৬’ বলেছেন রাহুল।
আরও পড়ুন: এত হইচইয়ের ব্যাপারই নয়, মুখ খুললেন সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ‘বস’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে রেলপথে জুড়ছে কলকাতা-শিলিগুড়ি
রাহুল গাঁধীর টুইট।
তবে এই প্রথম নয়, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে এর আগেও একাধিকবার আক্রমণ করেছে রাহুল গাঁধী। যার মধ্যে ছিল সদ্য সমাপ্ত রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনের এক প্রচারসভাও। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘মনমোহন সিংহের আমলেও সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানো হয়েছিল। কিন্তু সেনাবাহিনীর কথা মেনে তা গোপন রাখা হয়। এখন তো সেই বিধিনিষেধের তোয়াক্কাই করা হয় না। তাই সেনাবাহিনীর কাজকর্মের মধ্যে ঢুকে পড়তেও বাকি রাখেননি মোদী। সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সিদ্ধান্ত শুধুই সেনাবাহিনীর। কিন্তু উনি সেটাকে নিজেদের রাজনৈতিক সম্পত্তিতে পরিণত করেছেন।’’