বক্তা: মহাসমুন্দের সভায় রাহুল গাঁধী। মঙ্গলবার। পিটিআই
রাফাল কেলেঙ্কারির অভিযোগে সরাসরি নরেন্দ্র মোদীর নাম টেনে আনলেন রাহুল গাঁধী। তাঁর দাবি, রাফাল নিয়ে তদন্ত হলে শুধু দু’জনের নামই উঠে আসবে। এঁদের এক জন নরেন্দ্র মোদী, অন্য জন অনিল অম্বানী। মোদী তদন্তে ভয় পাচ্ছেন বলেও অভিযোগ এনেছেন রাহুল।
ছত্তীসগঢ়ের বিলাসপুরের সভায় নোটবন্দির প্রসঙ্গ টেনে মোদী গত কাল সনিয়া ও রাহুল গাঁধীকে কটাক্ষ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘টাকা নয়ছয়ের মামলায় জামিন নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে যাঁদের, তাঁরাই এখন অন্যদের সততার সার্টিফিকেট বিলি করছেন।’’ আজ নোটবন্দি নিয়ে মোদীর তিরের পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাহুল। তাঁর অভিযোগ, নোটবন্দির সিদ্ধান্ত গরিবের উপর আঘাত আর ‘স্যুট-বুট’ পরা ধনীর জন্য স্বস্তি। মহাসমুন্দের সভায় কংগ্রেস সভাপতির মন্তব্য, ‘‘মোদী বলছেন, নোটবন্দির ফলে মানুষের বালিশের ভিতর থেকে টাকা বেরিয়েছে। উনি ঠিকই বলেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেননি ঠিক কাদের টাকা তিনি ছিনিয়ে নিলেন। নোট বদলাতে লাইনে দাঁড়াল গরিব মানুষ। স্যুট-বুটের কাউকে লাইনে দাঁড়াতে দেখেছেন কি?’’ রাহুলের দাবি, ‘‘প্রধানমন্ত্রী ধনীর কালো টাকা সাদা করার সুযোগ করে দিয়েছেন।’’
রাফাল নিয়েও এ দিন আক্রমণে গিয়েছেন রাহুল। ছত্তীসগঢ়ের দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে বালোদা বাজারের সভায় তাঁর অভিযোগ, অনিল অম্বানী আজ পর্যন্ত একটা কাগজের বিমান পর্যন্ত বানাননি। আর যুদ্ধবিমান বানানোর ৭০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকলেও রাফাল চুক্তিতে হ্যালকে বাদ দিয়ে অনিলের সংস্থাকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। আর রাফাল নিয়ে তদন্ত করার জন্যই রাত ১টার সময়ে সিবিআইয়ের অধিকর্তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উন্নয়ন নিয়েও এ দিন মোদীকে নিশানা করেছেন রাহুল। ভোটারদের সামনে তাঁর মন্তব্য, ‘‘মোদী মনে করেন, ২০১৪ সালে তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তার পর থেকেই দেশে বিকাশের কাজ শুরু হয়েছে। উনি এটাও জানেন না যে এক জনকে দিয়ে দেশ চলে না। দেশ চালান মানুষ। মোদী এই ধরনের কথা বলে আপনাদের অপমান করেছেন।’’
রাহুল দাবি করেন, ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের বিধানসভা ভোটের ফল এ বার কংগ্রেসের পক্ষে যাবে। আর ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে ১০ দিনে চাষিদের ঋণ মকুব হবে।