সঙ্ঘ নিয়ে মন্তব্যে দুঃখিত নন, কোর্টে জানালেন রাহুল

মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর হত্যায় আরএসএসের ভূমিকা নিয়ে তাঁর তোলা অভিযোগ পৌঁছে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। মানহানির মামলায় আজ সর্বোচ্চ আদালত রাহুল গাঁধীকে সুযোগও দিয়েছিল দুঃখপ্রকাশ করে অভিযোগ প্রত্যাহার করার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৩:৩১
Share:

মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর হত্যায় আরএসএসের ভূমিকা নিয়ে তাঁর তোলা অভিযোগ পৌঁছে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। মানহানির মামলায় আজ সর্বোচ্চ আদালত রাহুল গাঁধীকে সুযোগও দিয়েছিল দুঃখপ্রকাশ করে অভিযোগ প্রত্যাহার করার। কিন্তু রাহুল জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও ভাবেই নিজের বক্তব্য থেকে সরে আসবেন না তিনি।

Advertisement

মহারাষ্ট্রের ঠানে জেলার ভিওয়ান্ডি এলাকায় আরএসএসের সম্পাদক রাজেশ কুন্তে অভিযোগ আনেন, সেখানকার সোনেলে একটি নির্বাচনী সভায় রাহুল গাঁধী মন্তব্য করেছেন, ‘‘আরএসএসের লোকেরাই গাঁধীজিকে হত্যা করেছে।’’ কংগ্রেস নেতা এ কথা বলার জন্য আরএসএসের সম্মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়ে স্থানীয় নিম্ন আদালতে মানহানির মামলা করেন তিনি। আদালত মামলা শুরু করে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীকে সেখানে হাজির হতে নোটিস পাঠায় নিম্ন আদালত। এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে আনা মামলা খারিজের আর্জি নিয়ে হাইকোর্টে যান রাহুল। কিন্তু তাঁর আর্জির বিরোধিতা করেন আরএসএস নেতা কুন্তে। সঙ্ঘের নেতার বক্তব্য ছিল, রাহুল নিম্ন আদালতে উপস্থিত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ গুলির জবাব দিতে পারেন। তবে হাইকোর্টে রাহুল গাঁধীর আবেদনের পরেও কোর্টে হাজিরার বিষয়ে স্থগিতাদেশ মেলেনি। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টে আসেন রাহুল। আর্জি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে আনা মামলা খারিজ করা হোক।

আজ সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি দীপক মিশ্র ও প্রফুল্ল সি পন্থের বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। মহারাষ্ট্রের ঠানে জেলার ভিওয়ান্ডির নিম্ন আদালতে রাহুলের হাজিরা দেওয়ার বিষয়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতে কুন্তের আইনজীবী বলেন, রাহুল গাঁধী তাঁর মন্তব্য নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করলেই তাঁরা মামলা তুলে নিতে পারেন। আদালতও মন্তব্য করে, মানহানির এই মামলা প্রত্যাহারের সুযোগ রয়েছে। তবে রাহুলের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, তাঁর মক্কেল দুঃখপ্রকাশ করবেন না। মামলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে তিনি। ফলে মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর পরামর্শও শুনবেন না তাঁরা।

Advertisement

রাহুলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে এটি খারিজ করার
আর্জি জানিয়েছেন সিব্বল। সর্বোচ্চ আদালত কুন্তেকে এই মামলায় তাঁর বক্তব্য জানানোর জন্য চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে। তার পরে পাল্টা
জবাব দিতে আরও চার সপ্তাহ হাতে পাবেন রাহুল।

দেশে অসহিষ্ণুতা বিতর্ক নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে মোদী সরকারের সংঘাত প্রবল হয়ে উঠেছে। এর মধ্যেই সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শুরুর দিনটিতেই সুপ্রিম কোর্টে রাহুলের মামলাটির শুনানি ছিল। কংগ্রেসের সহ সভাপতির আইনজীবী সিব্বল স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আরএসএসের বিরুদ্ধে করা মন্তব্য থেকে কোনও ভাবেই সরে আসতে রাজি নন রাহুল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন