রাফাল নিয়ে সবাই নামুন, চান রাহুল

রাফাল কেলেঙ্কারি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা মায়াবতীর মতো নেত্রীরা এখনও কংগ্রেসের মতো রাস্তায় নামছেন না। রাহুল গাঁধী চাইছেন, রাফাল দুর্নীতির বিষয়টি সকলেই গুরুত্ব দিয়ে বুঝুন। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৮ ০৪:২৩
Share:

রাহুল গাঁধী

রাফাল কেলেঙ্কারি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা মায়াবতীর মতো নেত্রীরা এখনও কংগ্রেসের মতো রাস্তায় নামছেন না। রাহুল গাঁধী চাইছেন, রাফাল দুর্নীতির বিষয়টি সকলেই গুরুত্ব দিয়ে বুঝুন।

Advertisement

আজ এক হিন্দি দৈনিকের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে কংগ্রেস সভাপতি রাহুলকে প্রশ্ন করা হয়, ‘‘মমতা বা মায়াবতীর মতো বড় নেত্রীরা কেন রাফাল নিয়ে খোলাখুলি আসরে নামছেন না?’’ জবাবে রাহুল বলেন, ‘‘আমি চাই, মানুষ বিষয়টি বুঝুন। প্রধানমন্ত্রী কী ভাবে টেন্ডার বদলাতে পারেন? দুনিয়ার সব থেকে বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি এটা, কোনও একশো গজ রাস্তার টেন্ডার নয়। ৩০ হাজার কোটি টাকার বরাত অনিল অম্বানীর সংস্থাকে পাইয়ে দিয়েছেন মোদী। এর তদন্ত শুরু হলে সোজা প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত সেটা পৌঁছবে!’’

রাহুলের মন্তব্যের পর কংগ্রেসের এক নেতা বলেন— যে হেতু রাহুল একাই বিষয়টি নিয়ে গোড়া থেকে সরব, কোনও কোনও বিরোধী নেতা-নেত্রী হয়তো মনে করছেন, রাফাল নিয়ে সরব হওয়া মানে সরাসরি রাহুলের নেতৃত্ব মেনে নেওয়া। কিন্তু এখন বাকিরাও বুঝতে পারছেন— রাফালে সত্যিই দুর্নীতি হয়েছে, আর প্রধানমন্ত্রী নিজে তাতে যুক্ত। এর পরে চন্দ্রবাবু নায়ডু, এম কে স্ট্যালিন, অখিলেশ যাদব, অরবিন্দ কেজরীবালরাও খোলাখুলি রাফালের বিরোধিতা করা শুরু করেছেন। তৃণমূল, বিএসপি-র মতো বাকি বিরোধীরা এগিয়ে না-এলে বরং বিজেপির হাতই শক্ত হবে।

Advertisement

আরও পড়ুন: অমিত শাহের পথে না গিয়ে রাজ্যে রাজ্যে ‘জনসম্পর্ক’ কংগ্রেসের

তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গোড়া থেকেই কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি এবং পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল।’’ কিন্তু রাফাল-প্রশ্নে তৃণমূলকে সে ভাবে‌ মাঠে দেখা যাচ্ছে না কেন? পার্থবাবুর মতে, ‘‘শুধু রাফাল কেন, কেন্দ্রের সব দুর্নীতিরই বিরুদ্ধে আমরা। সাধারণ মানুষের জীবন যার ফলে দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে, সেগুলো নিয়েই আমরা পথে নেমেছি। সেই জন্যই নোট বাতিলের প্রতিবাদ আমরা বেশি করে করছি।’’

আজ হায়দরাবাদে যুব মোর্চার অনুষ্ঠানে বিরোধী জোটকে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর কটাক্ষ, ‘‘প্রধানমন্ত্রী যখন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ করছেন, বিরোধী জোট ব্যস্ত ‘ব্রেকিং ইন্ডিয়া’ নিয়ে। এই বিরোধী মহাজোটে কোনও নেতা নেই, নীতিও নেই। রাহুল বাবা, আপনার দলকে তো দূরবীন দিয়ে দেখতে হয়! ২০১৯ সালেও মোদীকে মোকাবিলা করতে হবে।’’

আরও পড়ুন: জনতার ‘দিল’ জানবে কংগ্রেস

মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে মায়াবতী কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা না-করার ঘোষণার পরেই বিরোধী জোট ভাঙার কথা বলতে শুরু করে বিজেপি। রাহুল আজ বলেন, ‘‘মধ্যপ্রদেশে মায়াবতী বেশি আসন চাইছিলেন। আমি খোলা মনে দলের নেতাদের বিবেচনা করতে বলি। তার আগেই মায়াবতী আলোচনা বন্ধ করে দেন।’’ রাহুলের দাবি, লোকসভা ভোটে এর আঁচ পড়বে না। তাঁর মতে, ‘‘জোট হবেই। সমস্যা ছাড়াই হবে!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন