নেতাদের দৌড়ের রিপোর্ট চান রাহুল

নেতাদের দৌড়োদৌড়ি করাতে এ বারে কঠোর হলেন রাহুল গাঁধী। সাফ জানিয়ে দিলেন— দিল্লির দফতরে বসে থাকলে পদ ছাড়তে হবে। প্রতি মাসে নেতাদের কাজের রিপোর্ট নেবেন কংগ্রেস সভাপতি।

Advertisement

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৮ ০৫:০১
Share:

রাহুল গাঁধী। ফাইল চিত্র।

নেতাদের দৌড়োদৌড়ি করাতে এ বারে কঠোর হলেন রাহুল গাঁধী। সাফ জানিয়ে দিলেন— দিল্লির দফতরে বসে থাকলে পদ ছাড়তে হবে। প্রতি মাসে নেতাদের কাজের রিপোর্ট নেবেন কংগ্রেস সভাপতি।

Advertisement

সভাপতি পদের দায়িত্ব নিয়েই রাহুল বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, সংগঠনে আরও তরুণ মুখ নিয়ে আসবেন। যেমন কথা, কাজেও তেমন করেছেন। সংগঠনের একের পর এক পদে নিয়ে এসেছেন নবীন মুখকে। কিন্তু কাজের নির্দিষ্ট দায়িত্ব পেয়েও অধিকাংশ সময় দিল্লিতেই কাটান অনেক নেতা। ভোটের আগে তাঁদের দেশ জুড়ে দৌড়োদৌড়ি করাতে অভিনব পন্থা নিলেন রাহুল। নেতারা কোথায় কী কাজ করছেন, প্রতি মাসে তার লিখিত রিপোর্ট তাঁকে দিতে বলেছেন কংগ্রেস সভাপতি। অনেকটা পেশাদার কর্পোরেটের ধাঁচে এই রিপোর্টের ভিত্তিতে তিনি মূল্যায়ন করতে চান নেতাদের।

কংগ্রেসের এক নেতা জানান, ‘‘রাহুলের বার্তা স্পষ্ট। কাজ করুন, না হলে দায়িত্ব ছাড়ুন।’’ কংগ্রেসের সংগঠনের দায়িত্বে থাকা অশোক গহলৌত সব পদাধিকারীকে জানিয়েছেন, প্রতি মাসে ১০ তারিখে সব নেতাকে আগের মাসের কাজের ফিরিস্তি লিখিত ভাবে তাঁর কাছে পাঠাতে হবে। ১৫ তারিখের মধ্যে তিনি সেটি পাঠাবেন রাহুলের কাছে। কীসের হিসেব দিতে হবে, তা-ও সবিস্তারে জানিয়ে দিয়েছেন গহলৌত।

Advertisement

কংগ্রেস সূত্রের মতে, প্রতি মাসে নেতাদের জানাতে হবে দিল্লির বাইরে কোথায় কত দিন কাটিয়েছেন। কত জায়গায় বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্না, আন্দোলন করেছেন। দলে কত জন যুবককে সামিল করেছেন। সংগঠনের শক্তি বাড়াতে কী পদক্ষেপ করেছেন। আপাতত নেতাদের হাতে লিখে তা জানাতে হবে। শীঘ্রই একটি ছাপানো ফর্ম সকলকে দেওয়া হবে। সেটি ভরে পাঠাতে হবে নেতৃত্বের কাছে।

কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, পদ পেয়ে অনেক নেতা দিল্লিতে বসেই কাজ চালাতে চান। কে রাহুল গাঁধীর কত ঘনিষ্ঠ, সেটি বোঝাতেই ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু রাহুল চাইছেন, জমিতে গিয়ে মাটি শক্ত করতে। সে কারণেই একের পর এক পদে যুবকদের দায়িত্ব দিচ্ছেন। সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর রাহুল দলের সংস্কৃতিতেও আমূল পরিবর্তন চাইছেন। বিভিন্ন রাজ্যের ঝামেলা রাজ্য স্তরেই মিটিয়ে নিতে বলছেন। টিকিট পাওয়ার জন্য অতীতে দিল্লির আকবর রোডে এআইসিসি দফতরে ভিড় হতো। রাহুল সেটি বন্ধ করছেন। সম্প্রতি কর্নাটকের ঝামেলাও দিল্লির ত্রিসীমানায় ঘেঁষতে দেননি। সাফ নির্দেশ দিয়েছেন, এক জন নেতাও যেন দিল্লিতে দরবার করতে না আসেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন