প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মধ্যপ্রদেশ-সহ দেশের কয়েকটি রাজ্যে কাশির সিরাপে শিশুমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তোলাপাড়ের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশে জাল ওষুধের চক্র ধরতে জোরকদমে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। রাজ্যের ফুড সেফটি অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএসডিএ) জাল এবং নিম্নমানের ওষুধের ব্যবহার বন্ধ করতে অভিযান শুরু করেছে। জাল ওষুধের চক্রের সঙ্গে জড়িত ১০৩ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
রাজ্য এফএসডিএ-র সূত্র বলছে, গত এক বছরে ২০ হাজারের বেশি ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলির মধ্যে ১৬ হাজার ২৮৯টি ওষুধ গুণমানের পরীক্ষায় পাশ করেছে। কিন্তু ৮৫৮ রকমের ওষুধ সেই গুণমান-পরীক্ষায় পাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। সেগুলির মধ্যে ৬৫২টি নিম্নমানের, ১১৫টি বিষাক্ত এবং ৯১টি ওষুধে কোনও সংস্থার নাম পাওয়া যায়নি। ছ’টি গবেষণাগারে এই ওষুধগুলির পরীক্ষা করা হয়েছিল।
নিম্নমান এবং জাল ওষুধের সন্ধান মিলতেই দেশ জুড়ে তল্লাশি অভিযানে আরও জোর দেওয়া হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ৬০টি এফআইআর হয়েছে। ১০৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মে-তে রাজ্য এফএসডিএ জানিয়েছিল, গত এক বছরে ৩০ কোটি টাকার বেশি জাল ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রাজ্য জুড়ে এক হাজারেরও বেশি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সেই তল্লাশি অভিযানে প্রায় ১৪ হাজার ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এক হাজারের বেশি ওষুধ ডিলারের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। গ্রেফতার হয়েছিলেন ৬৮ জন। মূলত লখনউ, গাজ়িয়াবাদ, আগরা থেকে জাল ওষুধ বেশি উদ্ধার হয়।
সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশে কাশির সিরাপে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে দেশ জুড়ে। শুধু মধ্যপ্রদেশই নয়, রাজস্থান এবং মহারাষ্ট্রেও শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ‘কোল্ডরিফ’ নামে কাশির সিরাপ খেয়েই শিশুমৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই দেশের বেশে কয়েকটি রাজ্যে ওই সিরাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ওষুধ সংস্থার মালিককেও। এমন একটি পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জাল ওষুধের কারবার রাজ্যগুলি ধরতে অভিযান শুরু করেছে।